মস্কোকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা
আরও গভীর করতে বুধবার রাশিয়ার চারটি ব্যাংক ও ইউরোপে রাশিয়ার সম্প্রচারমাধ্যমগুলোর
ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে,
ইইউয়ের সরকারগুলো এই পরিকল্পনায় সম্মতি দিলে তা বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য ব্লকটির জন্য
সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হবে। ইউক্রেইনে আক্রমণের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত দেওয়া
সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা হবে এটি, কিন্তু রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল ইইউয়ের দেশগুলোকে
সরবরাহের বিকল্প উৎসও খুঁজে বের করতে হবে।
ফ্রান্সের স্থাসবুর্গে ইউরোপীয়
পার্লামেন্টে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লায়েন বলেন, “আজ আমরা ইউরোপ
থেকে রাশিয়ার সব তেলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করছি। এটি পুরো রাশিয়ার ওপর সম্পূর্ণ
আমদানি নিষেধাজ্ঞা হবে।”
ইইউ পার্লামেন্টের চেম্বার করতালিতে
তার এ বক্তব্যকে স্বাগত জানায়।
লায়েন জানান, কমিশনের নেওয়া পদক্ষেপগুলো
হল, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি পর্যায়ক্রেম ছয় মাসের মধ্যে এবং পরিশোধিত পণ্য ২০২২
এর শেষ দিকের মধ্যে বন্ধ করা। এর ফলে ইউরোপের অর্থনীতির ওপর যে প্রভাব পড়বে তা সীমিত
রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
“আমরা রাশিয়ার তেলের ওপর আমাদের
নির্ভরশীলতা নিয়ে কথা বলছি। কিছু সদস্য রাষ্ট্র রাশিয়ার তেলের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল
হওয়ায় এটি সহজ হবে না, কিন্তু আমাদের এটি করতে হবে। পুতিনকে অবশ্যই মূল্য দিতে হবে,
উচ্চ মূল্য, তার বর্বর আগ্রাসনের জন্য,” বলেন তিনি।
তেলের পাশাপাশি রাশিয়ার চারটি
ব্যাংক এবং দেশটির সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ আরও কর্মকর্তার ইউরোপীয় ইউনিয়নের থাকা
সম্পদ জব্দ ও তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলেও জানান লায়েন।
“আপনারা এ থেকে রেহাই পাচ্ছেন
না,” ক্রেমলিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন তিনি।
কমিশনের এসব প্রস্তাব অনুমোদনে এখন ইইউয়ের ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতি লাগবে। হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া ব্যাপকভাবে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভারশীল হওয়ায় তেল আমদানি বন্ধে তাদের কিছুটা বেশি সময় দেওয়া হতে পারে বলে অনুমান কূটনীতিকদের।
আরও পড়ুন:
ইউক্রেইনের রেলস্টেশন, বৈদ্যুতিক গ্রিডে রাশিয়ার হামলা
ইউক্রেইনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান মোদীর
শান্তি ফেরাতে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ চান পোপ ফ্রান্সিস
ইউক্রেইনে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করতে পারেন পুতিন