সান ফ্রান্সিসকো, নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, আটলান্টা, হিউসটোন এবং সল্টলেক সিটি জুড়ে গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে পদযাত্রা করে স্লোগান দিয়েছে জনতা।
এছাড়া, লুইসভিল, কেনটাকিসহ অন্যান্য আরও শহরে ছোটখাট বিক্ষোভ হয়েছে। সেসব জায়গায় মানুষ আদালত চত্বরের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
সেই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সরকারি স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে তিনি অসন্তুষ্ট এবং আদালত যে রায় দিতে চলেছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে তাতে তিনি ক্ষুব্ধ। ‘শারীরিক বিষয়ে স্বাধীনতা থাকাটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার শুদ্ধতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের আরেক অংশে ফ্লোরিডার সুপ্রিম কোর্টের সামনেও কয়েকশ’ মানুষ জড়ো হয়ে গর্ভপাতের অধিকারের সমর্থনে বিক্ষোভ করেছে। ‘ফ্লোরিডা অ্যালায়েন্স প্যারেন্টহুড অ্যাফিলিয়েটস’ এর কর্মী এবং বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক লরেন ব্রেনজেল বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে আরও বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হবে।
ওদিকে, সিয়াটলের শহরতলীতে হাজার হাজার মানুষ দফায় দফায় গণবিক্ষোভ করার ডাক দিয়েছে। গর্ভপাতের সাংবিধানি অধিকার বিলুপ্ত করা হলে এই বিক্ষোভ করার ডাক দিয়েছে তারা। এর মধ্যে সম্ভব হলে জাতীয় ধর্মঘট পালনের পরিকল্পনাও রয়েছে।
গর্ভপাতের অধিকারের সমর্থনে চলা বিক্ষোভে সামিল হওয়া বিক্ষোভকারীরা মানুষকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছে। ‘জেগে উঠুন,’ ‘জেগে ওঠার সময় এখনই’ ধ্বনিতে স্লোগান দিয়েছে তারা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেছে; তাতে লেখা, ‘জোর করে মাতৃত্ব নারীর দাসত্ববন্ধনের সামিল’।
বিক্ষোভে বক্তারা বলেছেন, গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে হলেও গণঅসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষের উচিত নতুন প্রজন্মের নারীদেরকে যেন তাদের মায়েদের চেয়ে কম অধিকার নিয়ে সমাজে চলতে না হয় তা নিশ্চিত করা।
ফ্লোরিডায় বিক্ষোভের আয়োজক লরেন ব্রেনজেল বলেন, “গর্ভপাতের ওপর এভাবে খড়গ নামানো বিপজ্জনক, অগ্রহণযোগ্য এবং মানুষ যে তা চায়না সেটি আমাদের নেতৃবৃন্দ, বিচারবিভাগ এবং আদালত ব্যবস্থাকে আমাদের সরব উপস্থিতির মধ্য দিয়ে জানান দেওয়ার পাশাপাশি এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্যই এই বিক্ষোভ।”