রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক
গেহলোতের নিজ শহর যোধপুরের উদয় মন্দির ও নাগোরি গেট এলাকাসহ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ
জারি আছে, গুজব ছড়ানো ঠেকাতে ইন্টারনেটও বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবার শহরের জালোরি গেট গোলচক্করে
ঈদের পতাকা লাগানো নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এদিন রাতে সংঘর্ষরতদের পাথর নিক্ষেপে
অন্তত পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি পেটা ও কাঁদুনে গ্যাস
নিক্ষেপ করে।
যোধপুরে তিন দিনব্যাপী পরশুরাম
জয়ন্তী উৎসব পালনকারী ও ঈদ পালনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে মঙ্গলবার ঈদের দিনও সংঘর্ষের
ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ শহরের কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করে।
মুখ্যমন্ত্রী গেহলোত সংঘর্ষে
বিজেপির ভূমিকা আছে বলে অভিযোগ করেন। এনডিটিভিকে মঙ্গলবার তিনি বলেন, “এটি বিজেপির
কাজ, কারণ লাগাম ছাড়া মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব সামাল দিতে না পারছে না তারা।তাই মনোযোগ
অন্যদিকে সরাতে ভেবেচিন্তেই এসব করছে তারা।”
সম্প্রতি ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক
সহিংসতা ও
উত্তেজনা বৃদ্ধি
পেয়েছে।
ধর্মীয় ও
রাজনৈতিক নেতাদের
উস্কানিমূলক বক্তব্য এতে আরও ইন্ধন
যোগাচ্ছে।
গত কয়েক
সপ্তাহে দিল্লি,
গুজরাট, মধ্য
প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড
ও পশ্চিমবঙ্গে
রাম নবমী,
হনুমান জয়ন্তী
ও রোজাকে
কেন্দ্র করে
অনেকগুলো সংঘর্ষের
ঘটনা ঘটেছে।
ক্রমবর্ধমান এসব দাঙ্গা
নিয়ে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা ও
এসব সহিংসতা
দমনে সরকারি
উদ্যোগগুলোর সমালোচনা করেছে দেশটির বিরোধীদল,
নাগরিক সমাজ
ও মানবাধিকার
আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: