আর তা সকালের নাস্তায় খেলে মিলবে বাড়তি
উপকার।
আমাদের শরীরের হাড়গুলো আসলে জীবন্ত টিস্যু,
যা ক্রমাগত নিজেদের পনর্গঠন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের
ডা. শাড ডিল বলেন, “আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতি পাঁচ থেকে দশ বছরে একটি ‘নতুন’ কঙ্কাল
তৈরি হয়।”
ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই
চিকিৎসবের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড়ে পরিবর্তন আসে। সাধারণত পয়ষট্টির
পর থেকে হাড়ের ভর হারাতে শুরু করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।
এই প্রক্রিয়া থামানো সম্ভব না কিন্তু
কিছুটা ধীর করা সম্ভব। তাই হাড়ে পর্যাপ্ত পুষ্টির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
একই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যালেন্স
ওয়ান সাপ্লিমেন্টে’র পুষ্টিবিদ ট্রিস্টা বেস্ট বলেন, “হাড়ের বার্ধক্য এড়াতে সেরা নাস্তা
হল টক দই।”
বেস্ট বলেন, “এক বাটি টক দইয়ের উপরে
শস্য-জাতীয় উপাদান যেমন- ওটস এবং আখরোট যোগ করলে তা ক্যালসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড
এবং ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহ করবে। এই নাস্তা সারা সকাল জুড়ে পেট ভরা রাখে। ফলে বাড়তি
চিনি-জাতীয় খাবারের ঝুঁকি কমে যায় অর্থাৎ বাড়তি গ্লুকোজ যোগ হয় না।”
বয়স বাড়ার সঙ্গে হাড় সুস্থ রাখার জন্য
প্রয়োজনীয় প্রধান পুষ্টির মধ্যে একটি হল ক্যালসিয়াম, যা দুগ্ধজাত খাবার (দই-সহ),
শাক, বাদাম, সয়া পণ্য এবং ‘ক্যালসিয়াম-ফোর্টিফাইড’ কমলার রসে পাওয়া যায়।
“হাড়গুলো খনিজ দিয়ে তৈরি এর মধ্যে ক্যালসিয়াম
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ হাড়গুলো ক্যালসিয়াম সঞ্চয় করে,” বলেন জানান বেস্ট।
“যদি শরীরে এই খনিজের ঘাটতি হয় তবে তা
হাড় থেকে বের হয়ে যায়, যার ফলে হাড় নাজুক এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়।”
টক দইয়ের মতো সকালে কিছু কম চিনিযুক্ত
দই খেয়ে দিন শুরু করলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এটা ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি,
পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ম্যাগনেসিয়াম সরবারহ করে যা বার্ধক্যের হাড়কে সুস্থ রাখতে সাহায্য
করতে পারে।
বেস্ট বলেন, “প্রোটিন ও শস্যের তৈরি নাস্তা
হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ প্রোটিন হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড
সরবারহ করে এবং শস্য পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম ও অন্যান্য খনিজের যোগান দেয়। যা হাড় শক্ত
করতে সহায়ক।”
টক দইয়ের সঙ্গে বাদাম, বাদামের মাখন,
দানাদার শস্য ইত্যাদি মিশিয়ে সকালে নাস্তা করা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী।
আরও পড়ুন