মৌসুম শেষেই ইউনাইটেডের দায়িত্ব ছাড়বেন রাংনিক। অস্ট্রিয়া
জাতীয় দলের দায়িত্ব নেবেন তিনি। তবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দলটির পরামর্শকের ভূমিকায়ও
থাকবেন।
ইউনাইটেড এরই মধ্যে নতুন মৌসুমের জন্য এরিক টেন হাগকে কোচ
হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তার সঙ্গে মিলেই দল পুনর্গঠনের কাজ করবেন রাংনিক।
তিনি আগেই বলেছিলেন, কিছু ‘টপ কোয়ালিটি’
ফুটবলার দলে টানবে ইউনাইটেড। এবার নির্দিষ্ট করে স্ট্রাইকারের কথা
বললেন। রোনালদোর সঙ্গে গোল করার দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন, এমন ফুটবলার খুঁজে বের করা টেন হাগের প্রধান কাজ হবে বলে মনে করেন রংনিক।
চলতি মৌসুমে ইউনাইটেডের পাওয়ার তেমন কিছু নেই। প্রিমিয়ার লিগে
৩৬ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে থাকা দলটি এখন পর্যন্ত গোল করেছে ৫৭টি, যা
শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ২৭ গোল কম। এখানেই দলটির দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে
উঠেছে।
পতুর্গিজ তারকা রোনালদো সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৮ ম্যাচে
গোল করেছেন ২৪টি। লিগে তার গোল ১৮টি। পরিসংখ্যান যে কথা বলছে, রাংনিকের সেটা
না বোঝার কোনো কারণ নেই। তাই আক্রমণভাগের শক্তি বাড়ানোর কথা বলেছেন।
“ক্রিস্তিয়ানো (রোনালদো) স্ট্রাইকার নয় আর
এই পজিশনে সে খেলতেও চায় না। এটা স্পষ্ট যে ক্লাবের অন্তত দুজন নতুন স্ট্রাইকার
দরকার, যারা দলের মান এবং বিকল্প আরও বাড়াবে। না, আমি উইঙ্গারের কথা বলব না।”
“দুজন স্ট্রাইকার, যারা
হবে আধুনিক স্ট্রাইকার, তাদের উইঙ্গার হতে হবে, এমন নয়। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাকালে দেখা যায়, দুজন
স্ট্রাইকার নিয়ে খেলে এমন দল কমই আছে। বেশির ভাগ দলই তিন জন স্ট্রাইকার অথবা একজন
ফলস নাইন নিয়ে খেলে।”
প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার দৌড়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি ও
লিভারপুলের উদাহরণ টানলেন রাংনিক।
“লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টার সিটির দিকে
তাকালে দেখা যাবে, তাদের স্কোয়াডে পাঁচ থেকে ছয় জন উচু মানের
স্ট্রাইকার রয়েছে। চার সপ্তাহ আগেও গাব্রিয়েল জেসুস খুব কমই খেলেছে, আর এখন সে আবার নিয়মিত খেলছে।”
“তাদের যে খেলোয়াড় সংখ্যা, তারা কি সেন্ট্রাল স্ট্রাইকার না উইঙ্গার হিসেবে খেলছে? জ্যাক গ্রিলিশ উইঙ্গার না স্ট্রাইকার? আমি বলব সবাই
স্ট্রাইকার এবং তারা বিভিন্ন পজিশনে খেলছে। তারা জায়গা বদলাচ্ছে, ঘুরে-ফিরে খেলছে। এই ধরনের খেলোয়াড় আমাদের খুব বেশি নেই।”