ক্যাটাগরি

ঈদের পরদিন ভিড় বাড়ল সদরঘাটে

ঈদের পরদিন বরাবরই
বাড়ি ফিরতে চাপ থাকে ঢাকায় থাকা অনেকের। তবে এবার ছুটি শুরুর আগে উপচে পড়া ভিড় না থাকায়
অনেকের ধারণা ছিল ঈদের পরদিনও হয়ত ফাঁকাই থাকবে ঢাকার প্রধান এ নৌবন্দরের পন্টুনগুলো।

সেই ভাবনার উল্টোটাই
দেখা গেছে বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোতে। যাত্রী ভরপুর লঞ্চগুলো
একে একে ছেড়ে গেছে বিভিন্ন গন্তব্যে।

যাত্রীর সংখ্যা বাড়ায়
বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৪৫টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে সদরঘাট থেকে। দুপুর পর্যন্ত এ সংখ্যা
ছিল ৩৮টি বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ এর পরিবহন পরিদর্শক
মো. হুমায়ূন। ঈদের দিন মঙ্গলবার সারাদিন ছেড়ে যায় লঞ্চের সংখ্যা ছিল ৮৬টি।
এদিনও ঢাকায় ফেরার যাত্রী তেমন নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বিকালেও সদরঘাটের পন্টুনে
যেমন অপেক্ষমানদের ভিড় রয়েছে, তেমনি সন্ধ্যার যারা যাবেন তাদেরও একে একে এসে নামতে
দেখা গেছে ঘাটের বাইরে।

ঈদের ছুটিতে সদরঘাটে লঞ্চে উঠতে বাড়িমুখী মানুষের ভিড়

ঈদের ছুটিতে সদরঘাটে লঞ্চে উঠতে বাড়িমুখী মানুষের ভিড়

দীর্ঘদিন
থেকে সদরঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানান, ঈদের পরদিন বরাবরই উপচে পড়া
ভিড় থাকে সদরঘাটে। এবারই এ ব্যকিক্রম দেখা যায়নি। গন্তব্যে পৌঁছে স্বজনের মুখ দেখতে চাওয়া ঢাকা ছাড়া
মানুষদের বেশ ভিড় দেখা গেছে লঞঘাটে।

বিআইডব্লিউটিএ
এর আরেক পরিবহন পরিদর্শক পিএম সিদ্দিকুর রহমান বুধবার বলেন, “ঈদের দিন
ও ঈদের পরের দুইদিন এরকম যাওয়ার ভিড় থাকে। সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে ঈদের পরের দিন।”
সাধারণত এ সময় চাঁদপুর, শরীয়তপুর, মুলাদী, চরফ্যাশন,
হাতিয়া, ভোলার ইলিশার রুটে যাত্রী বেশি যাতয়াত করেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বুধবার
সকাল ৮টার চাঁদপুর ও শরিয়তপুর রুটে ছিল উপচেপড়া ভিড়। এছাড়া ভোলার ইলিশা রুটেও ভিড়
লক্ষ্য করা যায়। বেলা গড়িয়ে বিকাল হলেও ঘাটে বরিশাল যেতে যাত্রী চাপ খুব একটা কম দেখা
যায়নি।

গত দুই
বছর করোনাভাইরাস মহামারীর বিধিনিষেধের কারণে ঈদযাত্রা বাধা পড়ে। বিকল্প পথে অনেকে গেলেও
পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকার বাইরে যেতে পারেননি অনেকেই। এবার সবার জন্য সে সুযোগ
ছিল উন্মুক্ত।

জনচলাচলে
কড়াকড়ি না থাকায় গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই থেকেই বাড়িতে যেতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করে রাজধানীর
মানুষ। যারা আগে ছুটি পাননি বা ঈদের আগে ভ্রমণের ঝক্কি এড়াতে চেয়েছিলেন তারা ঈদের পরদিন
ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন।

বিশেষ
করে দোকানের কর্মী ও তাদের পরিবার ঈদের পরদিন ঢাকা ছেড়েছেন বেশি। ঈদের দিনও দোকান খোলা
ছিল রাজধানীর অনেক এলাকায়। এ কারণে পরদিন থেকে ছুটি পেয়েছেন তারা।

শরিয়তপুরের নড়িয়ার
মোহাম্মদ ফয়সাল ঢাকায় কাজ করে ফার্ম গেইট এলাকায় এক
মিষ্টির দোকানে। ঈদের পরদিন কেন যাচ্ছেন জানতে চাইলে সদরঘাটে পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা
এ কিশোর বলেন, “ছুটি তো পাইনি। ছয়জনের স্টাফ কাউকেই ছুটি দেয়নি মালিক।”
বরিশাল যেতে ৮ নম্বর পন্টুনে বসে থাকা মাঝ বয়সী এক নারী বলেন, “ভিড়ের ভয়ে আগে যাইনি কিন্তু এখন দেখছি পরদিনও অনেক ভিড়।”
কোতোয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ঈদের আগের
ও পরের পাঁচ দিন সদরঘাটকেন্দ্রিক বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।