ক্যাটাগরি

ঋদ্ধিমানকে ‘হুমকি’ দেওয়া সাংবাদিক ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

নিষেধাজ্ঞার
সময়ে ভারতের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচের জন্য বোরিয়া প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন পাবেন না। বোর্ডের নিবন্ধিত
কোনো ক্রিকেটারের সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন না। বিসিসিআই বা রাজ্য সংস্থাগুলির
মালিকানাধীন ক্রিকেট অবকাঠামোতে প্রবেশ করতে পারবেন না তিনি।  

কিপার-ব্যাটসম্যান
ঋদ্ধিমান ম‍্যাসেজের ওই স্ক্রিনশট টুইট করেন গত ফেব্রুয়ারিতে, যে দিন শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল দেয় ভারত। সিরিজের
টেস্ট দলে তিনি জায়গা হারানোর পর একজন সাংবাদিক তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিয়ে
সাক্ষাৎকার দেওয়ার অনুরোধ করেন।

কিন্তু
তাতে সাড়া দেননি তিনি। এরপর ঋদ্ধিমানকে কলও করেন ওই সাংবাদিক। তাতেও কোনো উত্তর না
পেয়ে ম্যাসেজে লেখেন, “আপনি
কল (ব্যাক) করলেন না। আমি আর কখনোই আপনার সাক্ষাৎকার নেব না এবং এটা আমি মনে
রাখব। এটা আপনার করা উচিত হয়নি।” 

স্ক্রিনশট
নিয়ে এসব ম্যাসেজ টুইট করেন ঋদ্ধিমান। এসব দেখে তার পাশে দাঁড়ান রবি শাস্ত্রী, বিরেন্দর শেবাগ, হরভজন সিংয়ে
মতো সাবেক ক্রিকেটাররা। একই সঙ্গে ওই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করারও আহ্বান জানান
তারা।

ঋদ্ধিমান
যদিও সাংবাদিকের নাম জনসম্মুখে প্রকাশ করেননি। ৫ মার্চ বোরিয়া সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, ঋদ্ধিমান যে স্ক্রিনশট প্রকাশ করেছেন, সেখানে
মেসেজের দিনক্ষণ পরিবর্তন করা হয়েছে। ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন
বলেও জানান তিনি। 

এই
ঘটনার তদন্ত করতে বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা, কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল ও কাউন্সিলর প্রভতেজ সিং
ভাটিয়ার সমন্বয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল বিসিসিআই। 

ক্রিকেট
ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায়, সদস্যদের কাছে পাঠানো একটি বার্তায় বিসিসিআই
বলেছে, কমিটি ঋদ্ধিমান ও সাংবাদিক দুজনের সঙ্গেই কথা বলে এই
সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, বোরিয়ার কার্যকলাপের ধরন ছিল প্রকৃতপক্ষে ‘হুমকি ও ভয় দেখানোর।’ তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অন্যান্য
খেলোয়াড়দের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে বিষয়টি তদন্ত করা প্রয়োজন
ছিল বলে মনে করেছে বিসিসিআই।