ক্যাটাগরি

ক্লপের মনে হচ্ছে, ‘২০ বছরে এটিই প্রথম’

ফাইনালে ওঠার আগে এবার কঠিন পরীক্ষায় উতরাতে হয়েছে তাদের। সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে জিতলেও ভিয়ারিয়ালের মাঠে মঙ্গলবার প্রথমার্ধেই সেই ব্যবধান ঘুচে যায়। দাপুটে ফুটবলে ভিয়ারিয়াল এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ১২ মিনিটের ঝড়ে তিন গোল করে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেই ফাইনালে পা রাখে ক্লপের দল।

২১ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ক্লপের চতুর্থ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল এটি। তার কোচিংয়ে ২০১৮-১৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছিল লিভারপুল। এর আগের মৌসুমেও তারা খেলেছিল ফাইনালে। এই দুবারই শুধু নয়, তার কোচিংয়ে ২০১২-১৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

এবার ফাইনালে ওঠার পর তবু যেন নতুন রোমাঞ্চের ছোঁয়া পাচ্ছেন ক্লপ, বললেন তিনি বিটি স্পোর্টকে।

“মনে হচ্ছে যেন, ২০ বছরে এটিই প্রথম। এটা অসাধারণ জয়, কারণ নিজেদের কাজটা কঠিন করে তুলেছিলাম আমরাই। তবে এরকম কিছু যে হতে পারে, তা জানা ছিল আমাদের।”

প্রথমবার মনে হওয়া এই ফাইনালে উঠে একটি ‘প্রথম’ কীর্তি গড়া হয়ে গেছে ক্লপের। একই মৌসুমে দলকে ইংলিশ লিগ কাপ, এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তোলা প্রথম কোচ তিনিই।

ফেবারিট হিসেবেই সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ শুরু করে লিভারপুল। কিন্তু ভিয়ারিয়ালের আগ্রাসী ম্যান-মার্কিং ফুটবলে দিশা হারিয়ে ফেলে ক্লপের দল, নিজেদের বল ধরে রাখার খেলায় তারা খেই হারায়। দ্বিতীয়ার্ধে লুইস দিয়াস নামার পর লিভারপুলের খেলায় নতুন গতি আসে। একটি গোল করা ছাড়াও খেলার মোড় বদলে দেন কলম্বিয়ান এই উইঙ্গার।

প্রথমার্ধে দলের খেলায় ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাননি ক্লপও। দ্বিতীয়ার্ধে পালাবদলের জন্য তিনি দিয়াসকে কৃতিত্ব দিলেও বললেন, খেলার ধরনে বদল এনেই মিলেছে সাফল্য।

“আমরা জানতাম ভুল কোথায় হচ্ছে, কারণ এটা স্পষ্টই ছিল। তবে খেলোয়াড়দেরকে দেখানোর মতো পরিস্থিতি ছিল না যে আমরা কোনটি ঠিকঠাক করছি। স্টাফদেরকে বললাম, ‘বের করো যে কোথায় আমরা ভালো করেছি, ছেলেদের তা দেখাব’, কিন্তু স্টাফরা বলল, ‘এরকম কিছু নেই।”

“লুইস নামার পর অবশ্যই (দারুণ কাজে দিয়েছে)… কী দুর্দান্ত ফুটবলার সে… তবে কে নেমেছে, সেটা মূল ব্যাপার নয়, কীভাবে আমরা খেলতে শুরু করেছি, সেটাই ছিল পার্থক্য।”

২৮ মে প্যারিসের ফাইনালে লিভারপুলের প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি অথবা রিয়াল মাদ্রিদ।