ক্যাটাগরি

জাফলংয়ে পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা

গোয়াইনঘাট থানার এসআই প্রলয় রায় জানান, ওই হামলার ঘটনায় আহত সুমন সরকার নামের এক পর্যটক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এ মামলা করেন।

প্রশাসন নিযুক্ত কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের হামলায় সুমনসহ তিন আহত হয়েছেন বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান এসআই।

জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে টিকিট কাটা নিয়ে বচসার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈদে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের উপর কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক হামলা চালায়। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পাঁচজনকে আটক পুলিশ।  

ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লেখা নীল ইউনিফর্ম পরা তিনজন যুবক হাতে লাঠি নিয়ে একদল পর্যটকদের পেটাচ্ছে। এ সময় কিছু নারী পর্যটক তাদের থামাতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন।

ওই ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে আগতদের আগামী এক সপ্তাহ বিনাটিকিটে প্রবেশ করানোর ঘোষণা আসে।

ঘটনার পর ইউএনও তাহমিলুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, পর্যটকদের ওই দলটি টিকিট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকিট কাউন্টারে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের উপর হামলা চালায়।


জাফলংয়ে পর্যটকদের উপর হামলা, আটক ৫


জাফলংয়ে পর্যটকের উপর হামলা: টিকিট ফ্রি হলো এক সপ্তাহ
 

এই ঘটনা ‘খুবই দুঃখজনক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। ইতোমধ্যে তিনজন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”

এ ঘটনায় পাঁচজনতে আটকের কথা জানিয়েছেন গোয়াইনঘাট থানার ওসি কেএম নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “আমরা হামলাকারী স্বেচ্ছাসেবকদের চিহ্নিত করেছি। পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, তারা বেশি পিটিয়েছেন। এছাড়া আরও ৬/৭ জন জড়িত ছিলেন, তাদেরও আটকে অভিযান চলছে।”

আটকরা হলেন- গোয়াইনঘাট থানার পন্নগ্রামে মৃত রাখাল চন্দ্র দাস ছেলে লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস ও একই উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সেলিম আহমেদ (২১), নয়াবস্তি গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে সোহেল রানা, পশ্চিম কালীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে নাজিম উদ্দিন ও ইসলামপুর রাধানগর গ্রামে মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে জয়নাল আবেদীন।