ছবিটি অনেক আগে পোস্ট করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বললেও কবে পোস্ট করা হয়েছে তা জানাতে পারেননি।
তবে সুজানগর থানা পুলিশ বলছে, ছবিটি দেওয়ার পরপরই তারা দেখতে পেয়েছেন।
আবু বক্কার সিদ্দিকী রাতুল নামের এই যুবক সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং সদ্য বিলুপ্ত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক।
রাতুল সুজানগরের নাজিরগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মানিকহাট ইউনিয়নের গাবগাছী গ্রামের মোস্তফা কামাল বাবুর ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা আবু বক্কার সিদ্দিকী রাতুলের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
সুজানগর থানার ওসি আব্দুল হান্নান বলেন, “ফেইসবুকে ছবিটি ছাড়ার পরপরই আমরা খবর পেয়েছি। তার নামে পিস্তলের কোনো লাইসেন্স নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে অস্ত্রধারী ওই যুবককে আইনরে আওতায় আনব।”
ইতোমধ্যে তাকে আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে জেলা পুলিশরে উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে বেশি কিছু বলতে অস্বীকার করেন এবং ছবিটি পুরানো বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে পাবনার সুজানগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল আলম বলেন, “বিষয়টি জেলা পুলিশ অবহিত, তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।”
ঈদের দিনে কয়েকজন নেতার সঙ্গে ছবি তুলে ফেইসবুকে আপলোড দেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সবকিছুই আমরা তদন্ত করছি।”