বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের স্বাধীনতা
দিবসের রাতে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইলাদে হামলা এ ঘটনা ঘটে, এতে আরও বেশ কয়েকজন আহত
হয়।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, এ দিন রাতে দুই আততায়ী পথচারীদের ওপর হামলা চালায়, হামলাকারীদের অন্তত একজনের
কাছে কুঠার ছিল।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে
সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করেছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাতে বিবিসি
জানিয়েছে, হামলাকারীদের কাছে কুঠারের পাশাপাশি ছুরিও ছিল, শহরের একটি পার্কে পথচারীদের
ওপর হামলা চালায় তারা। স্থানীয়রা পার্কে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়।
আততায়ীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে,
পুলিশ রাস্তায় অবরোধ বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি করছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ইলাদের বাসিন্দাদের
ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। শহরটির অধিকাংশ বাসিন্দাই গোঁড়া ইহুদি সম্প্রদায়ের সদস্য।
এক টুইটার পোস্টে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইয়ার লাপিদ বলেছেন, “স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ মুহূর্তেই থেমে গেছে। ইলাদের এই রক্তাক্ত
হামলায় আমরা মর্মাহত।”
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে
এ হামলার ‘তীব্র নিন্দা’ জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
এর আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলিদের
ওপর ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি আরবরা। ২০০৬ সালের পর থেকে এটি
সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার পর্ব ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মার্চের শেষ দিক থেকে শুরু হওয়া
ওই ধারাবাহিক হামলায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে এক আরব ইসরায়েলি পুলিশ সদস্যসহ
১৬ জন ইসরায়েলি ও দু্ই ইউক্রেইনীয় নিহত হয়েছিল।
এর প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনি শহরগুলোতে
অভিযান চালানো শুরু করে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের
ঘটনায় অন্তত ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়, এদের মধ্যে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নিরপরাধ
লোকজনও আছে।
প্রায় পুরো রমজান মাস জুড়েই জেরুজালেমের
আল আকসা মসজিদ ও ইহুদিদের টেম্পল মাউন্ট এলাকায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে সহিংসতার
ঘটনা ঘটেছে।
যুদ্ধে ও বিভিন্ন প্রাণঘাতী হামলায়
নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ইসরায়েল প্রত্যেক স্বাধীনতা দিবসের আগে বিভিন্ন স্মরণানুষ্ঠান
পালন করে। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইহুদি এ রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে ইসরায়েলে হিব্রু
বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী দিবসটি পালন করে থাকে।
অপরদিকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের সৃষ্টির
দিন হিসেবে ফিলিস্তিনিরা ১৫ মে-কে আল-নাকবা বা ‘বিপর্যয়ের দিন’ হিসেবে পালন করে।