শুক্রবার কড়া ভাষায় সরকারকে কটাক্ষ করে এক টুইটে রাহুল বলেছেন, ‘বিজ্ঞান মিথ্যা বলে না, মোদী বলেন।”
প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলোকে সম্মান করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ দিয়ে রাহুল এই পরিবারগুলোর জন্য বাড়তি চার লাখ রূপি ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন সরকারের কাছ থেকে।
বৃহস্পতিবার ডব্লিউএইচও’র প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে বাড়তি ৪৭ লাখ মানুষ মারা গেছে। এ সংখ্যা ভারত সরকারের দেওয়া মৃত্যুর হিসাবের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি।
বিশ্বে কোভিড মহামারীতে প্রকৃত মৃত্যু প্রায় দেড় কোটি: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ভারতে কোভিডে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তার প্রকৃত সংখ্যা মোদী সরকার প্রকাশ করেনি বলেই আগে দাবি করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল। তার মধ্যেই এবার একদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া ওই তথ্য নিয়ে ফের কেন্দ্র সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দিলেন তিনি।
ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে কোভিডে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশই হয়েছে ভারতে। তবে ভারত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা প্রশ্ন তুলে বলেছে, ডব্লিউএইচও’র উপাত্ত সংগ্রহ পদ্ধতিতে ত্রুটি আছে এবং তারা যে মডেল ব্যবহার করেছে সেটির কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
ভারত মাত্র ৫২৪,০০২ মানুষের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। এই সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরের অবস্থানে আছে। আর কোভিড শনাক্তের সংখ্যাও ভারতের সরকারি হিসাবে কম দেখানো হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
ডব্লিউএইচও’র কোভিডে মৃত্যুর প্রতিবেদন উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী টুইটে লিখেছেন, কোভিড মহামারীতে ৪৭ লাখ ভারতীয় মারা গেছে। সরকারের দাবি অনুযায়ী মাত্র ৫ লাখ নয়। বিজ্ঞান মিথ্যা বলে না। মোদী বলেন। প্রিয়জন হারিয়েছে এমন পরিবারকে সম্মান করুন। প্রতিটি পরিবারকে বাধ্যতামূলকভাবে ৪ লাখ রূপি ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান।
ভারত সরকার বর্তমানে যাদের কোভিডে মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে তাদের পরিবারগুলোকে ৫০ হাজার রূপি ক্ষতিপূরণ দিয়ে আসছে। তবে ভারতের কিছু রাজ্য কোভিডে মৃত্যুর সরকারি হিসাবের বাইরেও বেশকিছু পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে।