শনিবার
বিকাল সাড়ে পাঁচটায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক হওয়ার কথা
রয়েছে।
এ
বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছরে আমরা
পূর্ণাঙ্গ কমিটির বৈঠক করতে পারিনি।
“এতদিন
পর সবাইকে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটির বৈঠক বসছে, সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা আসবে এটাই
স্বাভাবিক।”
তিনি
বলেন, “সামনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাচন। সব মিলিয়ে এই বৈঠক থেকে
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে।
“আওয়ামী
লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ, মেয়াদ উত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠনের তারিখ
নির্ধারণসহ আগামী নির্বাচনের জন্য তৃণমুল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত
করতে বিভিন্ন বার্তা দেবেন দলীয় সভানেত্রী।”
বৈঠকের
বিষয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো
হয়, বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। স্বাস্থ্যবিধি
মেনে বৈঠকে সবাইকে সভায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
ওবায়দুল কাদের।
এর
আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে দলটির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হয়েছিল। তবে মহামারী পরিস্থিতিতে
কমিটির স্বল্প সংখ্যক সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এবার সংক্রমণ কম থাকায় পূর্ণাঙ্গ
কমিটি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।
শনিবারের
বৈঠকের এজেন্ডার বিষয়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এক নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
শোক প্রস্তাব পাঠ, ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসসহ পরবর্তী
বিভিন্ন জাতীয় ও দলীয় দিবস উদযাপনের বিষয়ে করণীয় নিয়ে আলোচনাসহ সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
বিষয়, সাংগঠনিক ও বিবিধ বিষয় এজেন্ডা হিসেবে আছে।
এ
ছাড়া ‘অপপ্রচারকারীদের জবাব দিতেও’ নেতাকর্মীদের করণীয় এই সভায় ঠিক হবে বলে জানান বাহাউদ্দিন
নাছিম।
বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আড়াই বছরে সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার করেছে
দেশ ও সরকারবিরোধীরা।
“সকল
অপপ্রচারকারীকে দাঁত ভাঙা জবাব দিতে এবং সারা দেশের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে এই বৈঠক
থেকে নির্দেশনা আসবে।”
আওয়ামী
লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের
বৈঠকগুলো নিয়মিত রুটিন ওয়ার্কের মতই হয়। তবে করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন
পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বৈঠক হয়নি। এবারের বৈঠক অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।”
বৈঠকে
আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও নির্দেশনা আসতে পারে বলেও জানান কেন্দ্রীয়
আরেক নেতা।