ক্যাটাগরি

মারিউপোলের শেষ ঘাঁটিতে ‘রক্তাক্ত লড়াই’, যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণ করতে বলল রাশিয়া

মারিউপোলের পূর্ণ দখল করায়ত্ব করার শেষ মুহূর্তের চেষ্টায় নামা মস্কো বাহিনীর সঙ্গে সেখানে ইউক্রেইনীয় যোদ্ধাদের তুমুল রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে।

রাশিয়া বলেছে, অবরুদ্ধ আজভস্তাল কারখানার অবশিষ্ট ইউক্রেইনীয় সেনাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। ‘ইউক্রেইনের উচিত এই সেনাদের আত্মসমর্পণের নির্র্দেশ দেওয়া’, বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

মারিউপোলের ওপর রাশিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পথে বাধা হয়ে আছে এই একটি কারখানায় থাকা মুষ্টিমেয় কিছু ইউক্রেইনীয় যোদ্ধা। তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হলেই রাশিয়া পুরোপুরি মারিউপোল দখলে নেওয়ার দাবি করতে পারবে।

আর এমন হলে আগামী ৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবসের আগে দিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনও ইউক্রেইন অভিযানে সামরিক জয় ঘোষণা করতে পারবেন। এটি হবে রাশিয়ার জন্য এক বড় ধরনের জয়।

এদিক থেকে মারিউপোল দখল করাটা রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আবার এই নগরীর পতন হতে না দেওয়াটাও ইউক্রেইনের প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্র্ণ। একারণে আজভস্তাল কারখানাটি দুই পক্ষের ভাবমূর্তির জন্যই একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে।

 এই শেষ ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে তীব্র রক্তাক্ত লড়াই চলার কথা জানিয়েছে ইউক্রেইনের এক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডেনিস প্রকোপেঙ্কো।

ইউক্রেইনের যোদ্ধাদের হিসাবমতে, ওই কারখানায় রাশিয়ার জোর হামলার মধ্যে এখনও প্রায় ২শ বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়ে আছে। আর অবশিষ্ট ইউক্রেইনীয় যোদ্ধারা প্রতিরোধ এখনও ভেঙে পড়তে দেয়নি।

বিবিসি জানায়, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক ফোনালাপের সময় আজভস্তাল কারখানার অবশিষ্ট সেনাদের আত্মসর্মপণের নির্দেশ দেওয়া ইউক্রেইনের উচিত বলে মন্তব্য করেন।

ওদিকে, কারখানায় আটকা পড়া বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে তিনদিনের একটি যুদ্ধবিরতি বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন পুতিন। রুশ সেনারা নিরাপদ করিডোর দিতে প্রস্তত এমন কথাও তিনি বলেছেন বলে জানিয়েছেন মস্কোর কর্মকর্তারা।

কিন্তু আজভস্তাল কারখানার ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার অভিযোগ করে বলেছেন, রুশ সেনারা কারখানা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ব্যাহত করছে।