লঘুচাপটি শনিবার রাত নাগাদ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ
এ কে এম নাজমুল হক বলেন, “নিম্নচাপ হলেই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে
সংকেতের বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে।”
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বৃহস্পতিবার
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ধরে নিয়ে সে অনুযায়ী
সতকর্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ওই
ঘূর্ণিবায়ুর চক্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে তার নাম হবে ‘আসানি’। এটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া
নাম। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত
আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন
নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়।
আবহাওয়াবিদ নাজমুল জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর,
ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম
বিভাগের দুয়েক জায়গায় অবস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানিসহ বৃষ্টি/বজ্র
বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় তাপমাত্রা
আরও বাড়বে।
শুক্রবার যশোর ও সৈয়দপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছে। আর সন্দ্বীপে দেশের সর্বোচ্চ ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা
হয়েছে।
নদী বন্দরে সতর্কতা
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১টা পর্যন্ত কুমিল্লা, নোয়াখালী
ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার
বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সে কারণে ওই এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে
বলা হয়েছে।
এছাড়া অন্য এলাকায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে
যাওয়ার শঙ্কায় ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।