জেলার
বন্দর উপজেলার কদম রসুল দরগাহ থেকে তাকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছ বলে বন্দর
থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান।
গ্রেপ্তার
আবুল কাশেম (৫০) নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের
ছেলে।
মামলার
বরাতে ওসি বলেন, সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকায় প্রবাস ফেরত মো. উজ্জ্বল মিয়ার কাছ থেকে
সিগারেট জ্বালানোর একটি লাইটার ধার নেন সুজন নামে এক ব্যক্তি। একদিন পর সুজনের কাছে
উজ্জ্বল লাইটার ফেরত চাইলে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
“এক পর্যায়ে
সুজন, কালু, আজমান ও আবুল কাশেমসহ আরও কয়েকজন উজ্জ্বলকে মারধরসহ মাথায় ছুরি দিয়ে আঘাত
করে হত্যা করে।”
এ ঘটনায়
উজ্জ্বলের বাবা লুৎফর রহমান সুজনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা
করেন।
তদন্ত
শেষে ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৫ সালের
৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিয়াজী শহীদুল আলম
চৌধুরী চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এ সময় প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড
দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ছয় আসামিকে খালাস দেয় আদালত।
রায় ঘোষণার
সময় দণ্ডিত চার আসামির মধ্যে শুধু সুজন উপস্থিত থাকলেও বাকিরা পলাতক ছিলেন।
এ বিষয়ে
ওসি দীপক বলেন, ২০১২ সালের ৬ জুন সোনাকান্দা এলাকায় উজ্জ্বল মিয়াকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা
করা হয়। এই ঘটনায় থানায় মামলা হলে আবুল কাশেমসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
”কিছুদিন
জেলে থকে জামিনে বেরিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় কাশেম। সে বিভিন্ন মাজারে মাজারে ছদ্দনামে
ঘুরে বেড়াত। কাশেম এক জায়গায় বেশিদিন অবস্থান করতেন না। গোপন সংবাদ পেয়ে কদম রসুল দরগাহ
থেকে কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
গ্রেপ্তারের
পর বাদীপক্ষ শনাক্ত করার পর কাশেমকে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠালে তাকে কারাগারে পাঠানোর
আদেশ দেওয়া হয়।