শনিবার সকালে বালির স্তুপে ফোটা ওই বাচ্চাগুলোকে তুলে এনে চৌবাচ্চায় রাখা হয়েছে। বাচ্চাগুলো সুস্থ স্বাভাবিক রয়েছে।
গত ৬ মার্চ সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের একটি বাটাগুর বাস্কা ৩৪ ডিম দেয়। এরমধ্যে ৩৩টি ডিম দিয়ে এই বাচ্চা ফোটে।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, গত ৬ মার্চ করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ের বালির স্তুপের মধ্যে (স্যান্ডবীচে) একটি বাটাগুরবাস্কা প্রজাতির কচ্ছপ ৩৪টি ডিম দেয়। ওই ডিম থেকে বাচ্চা কবে ফুটবে তা দেখতে আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছিলাম। শনিবার ভোরে বালির স্তুপের কাছে যেয়ে দেখি ডিম থেকে একেএকে বাচ্চা ফুটতে শুরু করেছে।
করমজলে বাটাগুর বাস্কা কচ্ছপ দিল ৩৪ ডিম
ভোর থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়। কচ্চপের দেয়া ৩৪টি ডিমের মধ্যে ৩৩টি বাচ্চা ফোটে। একটি ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। বালুর স্তুপ থেকে বাচ্চাগুলোকে তুলে এনে একটি চৌবাচ্চায় রাখা হয়েছে। বাচ্চাগুলো একটু বড় হলে করমজলের পুকুরে ছেড়ে দেয়া হবে।
আজাদ কবির জানান, ২০১৪ সালে বিলুপ্ত প্রায় বাটাগুর বাস্কা প্রজাতির কচ্ছপ সংরক্ষণ ও তার বংশ বিস্তারে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সরকারের বন অধিদপ্তর বাইরের আমেরিকা এবং অস্ট্রিয়ার দুইটি সংস্থার সহযোগিতায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ওই বছরেই বাটাগুর বাস্কার ৮টি কচ্ছপ দিয়ে প্রজনন কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২০১৭ সালে ওই কচ্ছপগুলো ডিম দিতে শুরু করে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তাদের দেওয়া ৩২৭টি ডিমের মধ্যে ২৭৫টি বাচ্চা ফোটে।
বর্তমানে এখানে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৩৮৭টি কচ্ছপ রয়েছে বলে জানান তিনি।