শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকের এই দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীরা ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ন্যাশনাল পরিবহন এবং বিপরীতমুখী সিয়াম পরিবহনের বাসের যাত্রী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ন্যাশনাল পরিবহনের যাত্রী শরিফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছয়টি লাশ দেখেছেন।
আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হলে বনপাড়ার আমেনা হাসপাতালে মোহনা আক্তার মিলি (২৬) নামের এক যাত্রীর মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তিনি নাটোরের লালপুরের ওয়ালিয়া গ্রামের রুহুল আমীনের স্ত্রী।
নিহত অন্যরা হলেন- নাটোর সদর উপজেলার পাইকরদোল গ্রামের শাজাহান আলীর
মেয়ে সাদিয়া খাতুন (১২),তার ভাই কাওছার আলী (১৮),চাচা আলমগীর হোসেন (৫০) ও মামা আব্দুল
জলিল (২৫) এবং নাটোর এনএস সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান
(৩২) ও মাগুড়া জেলা সদরের মিজানুর রহমান (৩০)।
আহত ২৫ জন বনপাড়া, নাটোর ও রাজশাহীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পাওয়ামাত্র পুলিশ আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। সড়কে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ কাজ শুরু করে।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙা এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে।
ন্যাশনাল পরিবহনের যাত্রী শরিফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বনপাড়ার গাজী অটোরাইসমিল ও পাটোয়ারী ফিলিং স্টেশন পেরুনোর সময় তাদের বাসটি সামনের একতা পরিবহনের একটি বাসকে যখন অতিক্রম করে তখনই সিয়াম পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের পর সিয়াম পরিবহনের বাসটি মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগায়। অন্যদিকে ন্যাশনাল পরিবহনের বাসটি সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিচু জমিতে নেমে যায়।
দুর্ঘটনায় উভয় বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সড়কে যান চলাচলও তখন বন্ধ হয়ে যায়।