বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যায় কাশিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে ওই নারীর স্বজনরা জানিয়েছেন।
দগ্ধ
নবদম্পতিকে খুলনা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এই
ঘটনায় মেয়েটির সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেনকে আসামি করে পাটকেলঘাটা থানায় একটি মামলা
করেছেন তার বাবা।
আহত
গৃহবধূর ছোট বোন সাংবাদিকদের জানান, ১৫ এপ্রিল তার বড় বোনের বিয়ে হয়। ঈদের একদিন
আগে ভগ্নিপতি তাদের বাড়ি বেড়াতে আসেন।
“বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যার দিকে তারা কপোতাক্ষের তীরে বসেছিলেন। ওই সময় কয়েকজন যুবক এসে তাদের দিকে এসিড
জাতীয় পদার্থ নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।”
তিনি
জানান, তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার
অবনতি হলে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি
করা হয়।
ভগ্নিপতির
শরীরে কিছু অংশ ঝলসালেও বোনের মুখমণ্ডলের আংশিক এবং শরীরের বেশিরভাগ অংশ ঝলসে গেছে
বলে জানান তিনি।
গৃহবধূর
বাবা মামলার বাদী বলেন, তার এই মেয়েকে আগে কলারোয়ার তুলসিডাঙ্গার এক মালয়েশিয়া
প্রবাসী সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যৌতুকের চাপ ও পারিবারিক
নির্যাতনসহ নানাবিধ কারণে তাকে তালাক দেওয়া হয়। সাদ্দাম হোসেন বর্তমানে বাড়িতে
রয়েছেন।
তালাকের
প্রতিশোধ নিতে সাদ্দাম এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী।
পাটকেলঘাটা
থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় জানান, এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে একটি এজাহার
দিয়েছেন। মামলাটি রেকর্ডের করার প্রক্রিয়ায় আছে। আসামি সাদ্দামকে গ্রেপ্তারে অভিযান
চলছে।