শনিবার সকাল থেকেই বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করে বলে বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন জানান।
তিনি বলেন, “বাংলাবাজার থেকে পাঁচটি ফেরি দিয়ে যাত্রী, জরুরি গাড়ি ও কাঁচামালবাহী গাড়ি পারাপার করানো হচ্ছে। কিছু গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। সন্ধ্যার পরে যাত্রী কমতে পারে।”
প্রচণ্ড গরমে ঘাট এলাকায় অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। যানবাহন থেকে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।
শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেল, দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে বাস, পিকআপ ভ্যান ও মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে কর্মস্থলমুখী যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাটে আসছে। ফেরিগুলোতে সাধারণ যাত্রী, অ্যাম্বুলেন্, জরুরি যানবাহন ও কাঁচামালবাহী গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
ঘাট এলাকায় কথা হয় মংলা থেকে আসা যাত্রী ত্রিদিব অধিকারীর সঙ্গে। অভিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আমার বাইকের ভাড়া অন্য সময় ৭০ টাকা নেওয়া হয়, অথচ নেওয়া হয়। অথচ এখন নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। কিন্তু রিসিটে ৭০ টাকাই লেখা হচ্ছে। যা হোক, টাকা বেশি নিলেও সমস্যা নেই। তাও যদি ফেরি পাই।”
বরিশালের আগৈলঝারা থেকে আসা পঙ্কজ বাড়ৈ বলেন, “ঘাটে অনেক গরম আর জ্যাম। তারপরও এভাবেই যেতে হবে। কারণ কাল থেকে অফিস শুরু।”
লঞ্চঘাটে কোটালীপাড়া থেকে আসা যাত্রী পপি গাইন বলেন, “লঞ্চে দাঁড়ানোর জায়গা নেই। মনে হয় ঠেসেঠেসে যাত্রী তুলছে। ঘাটের দায়িত্বে যারা আছে, তারা কিছুই করে না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খালি বাঁশি ফুঁ দেয়।”
ঝালকাঠির পলাশ রায় নামের এক যাত্রী বলেন, “আমরা লঞ্চ মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে গেছি। এখন ভালোভালো ঢাকা যেতে পারলেই হলো।’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, বাংলাবাজার ঘাটে মাত্র পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। তাই যাত্রীদের সামাল দিতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে ঘাটে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এখনো ঘটেনি।
ভাড়া বেশি আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “ঘাটে বেশি ভাড়া কেউ নিলে পুলিশকে জানান। আমরা ব্যবস্থা নেব।”