ক্যাটাগরি

সয়াবিন তেল: বাজার থেকে এখনও খালি হাতে ফিরছেন ক্রেতারা

কিছু ব্যবসায়ী স্টকে রাখা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ২১০ টাকায় বিক্রি করলেও বেশিরভাগ দোকানিকেই তেল নেই জানিয়ে ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিতে দেখা গেছে।

পাইকাররা বলছেন, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকেই ডিলাররা ভোজ্যতেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন। যে কারণে ঈদের সময়টাতেও তারা ক্রেতাদের বিমুখ করেছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফাচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ভোজ্যতেলের দাম ৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।

ওই ঘোষণায় খোলা সয়াবিন তেল ১৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১৮০ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা করা হয়। ৫ লিটারের বোতলের দাম ঠিক করা হয় ৯৮৫ টাকা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজার ঘুরে কোনো ব্যবসায়ীর কাছেই খোলা বা বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। এর বদলে দেখা গেছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অলিভ, সানফ্লাওয়ার কিংবা রাইসব্র্যান অয়েল।

জানতে চাইলে কারওরান বাজারের আনোয়ার এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদুল ফিতরের এক সপ্তাহ আগে থেকেই আমাদের তেল দিচ্ছে না।

কারওয়ান বাজারের একটি মুদি দোকানে শুক্রবার ড্রাম থেকে খোলা সয়াবিন তেল মাপার জন্য বোতলে ভরা হয়। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

কারওয়ান বাজারের একটি মুদি দোকানে শুক্রবার ড্রাম থেকে খোলা সয়াবিন তেল মাপার জন্য বোতলে ভরা হয়। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

“আমি প্রধানত সিটি গ্রুপের সয়াবিন তেল বিক্রি করি। কিন্তু গত প্রায় ১৫ দিন ধরে আমাদের তেল দেওয়া হচ্ছে না। এখন শুধু বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অলিভ অয়েল আর দেশীয় সরিষার তেল বিক্রি করছি।”

কারওয়ান বাজারের অন্যতম বড় পাইকারি ব্যবসায়ী সোনালী ট্রেডার্সের মালিক আবুল কাশেম বলেন, “গত ১৫ দিন ধরে ডিলাররা আমাদের তেল দিচ্ছে না। তাই আমরাও তেল বিক্রি করতে পারছি না।”

একই কথা জানিয়ে মিলু স্টোরের মো. ইয়াসিন বলেন, “বৃহস্পতিবার যখন তেল ব্যবসায়ী সমিতি নতুন দর দিয়েছে, হয়তো আগামীকাল (রোববার) থেকে ডিও নিতে পারে। তাই আগামীকাল থেকে আমরা তেল পাব বলে আশা করছি।”

মিরপুর ১ নম্বর পাইকারি বাজারে দেখা যায়, কোনো দোকানির কাছেই খোলা বা বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। অথচ মহল্লার বাজারগুলোতে ভোজ্যতেল না পেয়ে ক্রেতারা ছুটছেন মিরপুরের এই পাইকারি বাজারের দিকে।

এ বাজারে তেল কিনতে আসা রিতুল আহমেদ বলেন, “আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ছোট পরিসরে একটা খাবারের আয়োজন করেছি। কিন্তু কোনো বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। মিরপুরের শেষ ভরসা এই মার্কেটে আসলাম।”

তিনি বলেন, “রাহিম ভ্যারাইটিজ স্টোর থেকে প্রতি লিটার ২১০ টাকা করে ৮ লিটার খোলা তেল কিনেছি।”

পরে ওই দোকানে সাংবাদিক পরিচয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে রাহিম ভ্যারাইটিজ স্টোরের বিক্রয় প্রতিনিধি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এবং তার কাছে কোনো সয়াবিন তেল নেই বলে জানান।

 

আরও পড়ুন


দোকানে তেল আসেনি, এসেছে আশ্বাস