ক্যাটাগরি

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ডিসেম্বর হওয়ার আভাস দিলেন কাদের

শনিবার
রাতে গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান
তিনি।

সম্মেলনের
বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ডিসেম্বরে আমরা মনে করছি। যে কোনো সময়ে…নেত্রী যখন তারিখ দেবে
সেভাবেই হবে। এখন থেকেই গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র আপডেট করার জন্য, ইশতেহার তৈরির জন্য
তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।”

এবার হবে
আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন। এর আগে ২১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর।
ওই সম্মেলনে সভাপতি
পদে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের পুননির্বাচিত হন। 

সহযোগী
সংগঠনের সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ” বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত
আছেন তারা প্রত্যেক বিভাগের সহযোগী সংগঠনগুলোর খোঁজ খবর নিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। সহযোগী
হোক বা মূল দল মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সম্মেলন করতে হবে।”

শনিবারের
বৈঠকে সারা দেশে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান জোরদার করা এবং দলের মধ্যে শৃঙ্খলা
ফিরিয়ে আনার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মেয়াদোত্তীর্ন
কমিট্গিুলোর সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যারা
বিদ্রোহী, পদে আছে সেসব জায়গায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করে মেয়াদোত্তীর্ন সম্মেলনের
কাজ সমাপ্ত করতে হবে।

“মেয়াদোত্তীর্ণ
সকল শাখা বিশেষ করে উপজেলা এবং জেলার সম্মেলনগুলো কাজ শেষ করতে হবে। আমাদের অন্তত ৪০টি
উপজেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। এবং সাতটির মত জেলার সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি
নিচ্ছি আগামী ১২ তারিখ থেকে।”

বিজয় সুনিশ্চিত
করতে আগামী নির্বাচন ও জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত দল হিসেবে আওয়ামী
লীগকে গড়ে তোলার বিষয়টিও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন,
“বিরোধী দলগুলো তাদের মিছিল-মিটিং-সমাবেশগুলো স্বাধীনভাবে করুক। আমরা গণতান্ত্রিক
রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিরোধী দলও যারা নির্বাচন
করবে তাদের স্বাগত। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে।”

স্বাধীনতা
ও জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ
আচরণ এবং অসম্মানিত করায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল
আহমেদের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

এ বিষয়ে
কাদের বলেন, “তাকে অব্যাহতি দিয়ে শোকজ দেওয়া হয়েছে। 

“দুই-তিনটা
বিষয় এখানে এসেছে…নারায়ণগঞ্জ ও নীলফামারী…সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শোকজ করে
নোটিশ দেওয়ার জন্য। এবং কাউকে কাউকে অব্যাহতি দিয়ে শোকজ দিতে বলা হয়েছে।”

বিদ্রোহীদের
বিরুদ্ধে কঠের হতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
আবদুস সোবহান গোলাপ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নসহ
আওয়ামী লীগের সকল ইউনিটের সম্মেলন প্রস্তুতির কোন কমিটিতে যারা বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন
করেছে বা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে- তাদের না রাখতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ
দিয়েছেন।”