সিএনএন জানায়, সেখানে একটি স্কুলভবনের অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত মানুষদের দেখতে গিয়ে ইউক্রেইনের ফাস্র্টলেডি ওলেনা জেলেনস্কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জিল বাইডেন।
২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ওলেনাকে জনসম্মুকে দেখা যায় নি। তার সঙ্গে দেখা করে জিল বলেন, “আমি মা দিবসে ইউক্রেইনে আসতে চেয়েছিলাম। আমরা ভেবেছি এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়া দরকার সেটি ইউক্রেইনের জনগণকে দেখানোটা গুরুত্বপূর্ণ।”
“এই যুদ্ধ নৃশংস। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ইউক্রেইনের জনগণের পাশে আছে।” স্কুলের ওই উদ্বাস্ত শিবিরে ৪৮ জন শিশুসহ আশ্রয় নিয়ে আছে ইউক্রেইনীয়রা।
মার্কিন কর্মকর্তারা সিএনএন-কে বলেছেন, ইউক্রেইনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা রাশিয়ার আগ্রাসনের শুরুর দিকে জিল বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন এবং সম্প্রতি কয়েকসপ্তাহে তার সঙ্গে চিঠি চালাচালি করেছেন।
এবার জিল বাইডেনের সাক্ষাৎ পাওয়ার পর ওলেনা বলেন, “প্রথমত এই যুদ্ধের মধ্যে, যখন প্রতিদিনই সামরিক তৎপরতা চলছে, বোমা পড়ছে, সাইরেন বাজছে, এমন একটি সময়ে সাহস নিয়ে ইউক্রেইনে আসার জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
আমরা আপনার সমর্থন উপলব্ধি করতে পারি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নেতৃত্বকে অনুধাবন করতে পারি। তবে আমরা এটিটও বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই যে, মাদার্স ডে (মা দিবস) আমাদের জন্য একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী দিবস। কারণ, এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে আমরা আপনাদের ভালোবাসা এবং সমর্থনকেও অনুভব করতে পারছি।”
সফরকালে স্কুলের ওই উদ্বাস্তু শিবিরেই দুই ফার্স্টলেডির মধ্যে এক ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে।
