ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে শনিবার রাতে দুই দলের প্রাণবন্ত লড়াই শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়।
এতে আপাতত শীর্ষে ওঠেছে লিভারপুল। দুই নম্বরে নেমে গেলেও শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
অ্যানফিল্ডে প্রবল গতি আর আক্রমণাত্মক ফুটবলে টটেনহ্যামকে চেপে ধরার চেষ্টা করে লিভারপুল। শুরুতে যাই থাকুক আক্রমণের ঝাপটা সামাল দিতে সফরকারীরা দ্রুতই ৫-৪-১ ফর্মেশনে চলে যায়।
প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে সুবিধা করতে পারছিলেন না সাদিও মানে, মোহামেদ সালাহরা। তাদের জন্য প্রস্তুত ছিলেন টটেনহ্যামের ডিফেন্ডাররা। বিশেষ করে মানের জন্য আলাদা পরিকল্পনা ছিল তাদের। সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড বল পেলেই তাকে ঘিরে ধরছিলেন দুই-তিন জন।
বল দখলে অনেক পিছিয়ে থাকা টটেনহ্যাম প্রতি-আক্রমণে ভীতি ছড়াচ্ছিল মাঝে মধ্যে।
২৯তম মিনিটে প্রথম গোলের সত্যিকারের সুযোগ তৈরি হয়। বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো আত্মঘাতী গোল করে বসছিলেন রায়ান সেসেগনন। বলের কাছে পৌঁছে যাচ্ছিলেন সালাহও। তবে দ্রুত সরে গিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নেন গোলরক্ষক উগো লরিস। বেঁচে যায় টটেনহ্যাম।
দশ মিনিট পর একটুর জন্য এগিয়ে যেতে পারেনি লিভারপুল। কর্নার থেকে ভার্জিল ফন ডাইকের শট ব্যর্থ হয় ক্রসবারে লেগে।
৪২তম মিনিটে লুইস দিয়াসের শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন লরিস। পরের মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত টটেনহ্যাম। পিয়েরে-এমিল হয়বার্গের বুলেট গতির শট ব্যর্থ হয় পোস্টের বাইরের দিকে লেগে।
দ্বিতীয়ার্ধ প্রায় একইভাবে শুরু করে লিভারপুল। তবে তাদের টানা আক্রমণ সামলে অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতেই ৫৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম।
ডি বক্সের মাথা থেকে হ্যারি কেইন খুঁজে নেন সেসেগননকে। তিনি পেনাল্টির স্পটের কাছে বল বাড়ান সন হিউং-মিনকে। বাকিটা সারতে কোনো সমস্যাই হয়নি দক্ষিণ কোরিয়ার এই ফরোয়ার্ডের।
পিছিয়ে পড়ার পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে লিভারপুল। ৭৪তম মিনিটে সৌভাগ্যের গোল সমতা ফিরিয়ে ফেলে তারা। ডি বক্সের বাইরে থেকে দিয়াসের শট রদ্রিগো বেন্তানকুরের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জড়ায় জালে। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের।
বাকি সময়ে প্রবল চাপ তৈরি করলেও সাফল্য পায়নি লিভারপুল। প্রতি আক্রমণ থেকে সুযোগ এসেছিল টটেনহ্যামের সামনেও। কিন্তু তারাও পারেননি এর কোনোটা কাজে লাগাতে।
৬৬ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা লিভারপুল গোলের জন্য নেয় ২২ শট। এর কেবল তিনটি ছিল লক্ষ্যে। পুরো ৩ পয়েন্ট না পাওয়ায় তাদের ‘কোয়াড্রপল’ জয়ের স্বপ্ন খেল বড় এক ধাক্কা। যদি ৩৫ ম্যাচে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় ওঠেছে লিভারপুল। তবে এক ম্যাচ কম খেলা সিটির সামনে সুযোগ আছে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে হারিয়ে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার।
দিনের অন্য ম্যাচে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করা চেলসি ৩৫ ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে। এক ম্যাচ কম খেলা আর্সেনাল ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে চারে।
৩৫ ম্যাচ ৬২ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে থাকার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে টটেটনহ্যাম। ইউরোপ সেরার মঞ্চ খেলতে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে আর্সেনাল ও চেলসির ব্যর্থতার দিকে।