আকতার হোসেন নামের ওই ব্যবসায়ী ফটিকছড়ি উপজেলার বাগানবাজার এলাকার দক্ষিণ গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। হেঁয়াকো বাজারে তার একটি মুদি দোকান আছে।
শনিবার রাতে ফটিকছড়ির সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর ওই দোকানির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তেল উদ্ধার করেন।
এস এম আলগমীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাজারে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না এমন অভিযোগ ছিল আমাদের কাছে। এরপর তথ্য পাই আকতার হোসেনের বাড়িতে গোপনে সয়াবিন তেল মজুদ করা হয়েছে।
“অভিযানে ওই বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ২ হাজার ৩২৮ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়। ১, ২ ও ৩ লিটারের বোতল পাওয়া গেছে সেখানে। তবে ৫ লিটারের কোনো বোতল পাওয়া যায়নি।”
সয়াবিন তেল সংকট: পরিকল্পনায় ঘাটতি দেখছেন হেলাল উদ্দিন
সয়াবিন তেল: বাজার থেকে এখনও খালি হাতে ফিরছেন ক্রেতারা
দোকানে তেল আসেনি, এসেছে আশ্বাস
সেসব বোতলের গায়ে প্রতি লিটার ১৬০ টাকা দাম লেখা ছিল জানিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এসব তেল মজুদ করা হয়েছে শেষবার দাম নির্ধারণের আগে। আকতার হোসেনের দাবি, তিনি ১৮০ টাকা লিটার দরে তেল বিক্রি করেছেন। তবে তার দোকানে কোনো তেল পাওয়া যায়নি।”
ফটিকছড়ির বিভিন্ন বাজারে ও দোকানে এখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ২০০ টাকা বা তার চেয়ে বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে।
অতিরিক্ত দামে বিক্রির জন্য অবৈধভাবে পণ্য মজুদ রাখার অভিযোগে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে আকতার হোসেনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আকতার হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার সব বোতল ‘ফ্রেশ’ ব্র্যান্ডের। পাশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার এক ডিলারের কাছ থেকে তিনি ওই তেল নিয়েছেন বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে দাবি করেছেন।
উদ্ধার করা তেল আকতার হোসেনের দোকানেই ক্রেতাদের কাছে বিক্রির জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম আলমগীর।