ক্যাটাগরি

নতুন প্রযুক্তিতে আরও দ্রুতগতির ব্রাউজার আনছে ‘টর’

ধারণা করা হচ্ছে, ব্রাউজারটির সর্বশেষ
সংস্করণে নতুন একটি পদ্ধতি উন্মোচনের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। ‘কনজেশ্চন কন্ট্রোল’ নামে
নতুন এই পদ্ধতির কথা উঠে এসেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডারের প্রতিবেদনে।

নতুন এই পদ্ধতি ‘কার্যক্ষমতার উল্লেখযোগ্য
উন্নতি’ আনবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে টর। এ ছাড়া, ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে নেটওয়ার্ক ক্ষমতাও
বাড়বে বলে ঘোষণাতে উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

কনজেশ্চন কন্ট্রোল ইতোমধ্যে ব্রাউজারটির
‘০.৪.৭.৭.’ সংস্করণে এসেছে। তবে, টর এই ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করেছে বলে উঠে
এসেছে প্রতিবেদনে।

‘দ্য অনিয়ন রাউটার’ বা টর একটি বিনামূল্যের
এবং ‘ওপেন সোর্স’ সফটওয়্যার, যেটি দিয়ে ‘পরিচয় গোপন রেখে যোগাযোগ’ সম্ভব।

টেকরেডারের প্রতিবেদন বলছে, টুলটি
কখনও নিজেকে সবচেয়ে দ্রুতগতির ব্রাউজার হিসেবে জাহির করতে পারবে না। কারণ, নেটওয়ার্কের
নোডে ‘জট বেধে যাওয়া’ এবং ‘এক্সিট রিলে’-তে থাকা ‘দীর্ঘ সারি’ ব্রাউজারে যোগাযোগের
গতি কমিয়ে দেয়।

এই ‘বেনামী’ ব্রাউজারটি যারা ব্যবহার করেন, তারা প্রায় ২০ বছর ধরে এর সমাধান
খুঁজছেন। টর প্রথম উন্মোচন হয়েছিল ২০০২ সালে।

তিনটি নতুন অ্যালগরিদমের সাহায্যে এখন সেই সমাধান মিলেছে। অ্যালগরিদম তিনটি
হচ্ছে- ‘টর-ওয়েস্টউড’, ‘টর-ভেগাস’ এবং ‘টর-নোলা’।

নতুন এই পদ্ধতি থেকে সুবিধা পেতে সকলের ‘এক্সিট রিলে অপারেটর’-কে ‘০.৪.৭.’ সংস্করণে
আপগ্রেড করতে হবে। তবে, আভ্যন্তরীণ ‘টর নোডস অপারেটর’-কে এখনই আপগ্রেড করতে হবে না
এবং ব্রাউজারের ব্যান্ডউইথ সীমাও নির্ধারণ করে দিতে হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে
টেকরেডার।

“যেহেতু আমাদের নেটওয়ার্কের
মোটামুটি ২৫ শতাংশ ব্যবহৃত হয়, সেহেতু আমরা আশা করছি, প্রথম কয়েকজন ব্যবহারকারীর জন্য
‘থ্রুপুট’ সম্ভবত অনেক উচ্চক্ষমতার হবে” –বলছেন নির্মাতারা।

“এই কারণে, ‘কনজেশন কন্ট্রোল’ সহ একটি ‘টর ব্রাউজার স্টেবল’ উন্মোচনের বিষয়টি
আমরা আটকে রেখেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতাকে আরও সজ্জিত করে এক্সিট পুরোপুরি
আপগ্রেড না হচ্ছে।”

আপগ্রেডের এই ফলাফল ৩১ মে-তেই ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছে টর।