ঘন, মসৃন সুন্দর চুল সবাই চায়। তবে যত্নের অভাবে তা অনেকেই
পান না। চুলের মলিনতা দূর করে ঝলমলেভাব আনতে সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
আর এরজন্য বেশি কিছু নয় মানতে হবে কিছু নিয়ম।
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ‘প্ল্যান্টাস’য়ের
প্রধান গবেষক মধুমিতা ধর বলেন, “আবহাওয়া আর দূষণের কারণে চুল যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেমনি
বিভিন্ন তাপ প্রয়োগ করা যন্ত্র যেমন ‘আয়রন,’ ‘কার্লার’, ‘ড্রায়ার’ ব্যবহারে চুল হয়ে
যায় মলিন ও শুষ্ক।”
তিনি পরামর্শ দেন যে, “এসব যত কম ব্যবহার করা যায় ততই মঙ্গল
হবে চুলের জন্য।”
এছাড়াও কয়েকটি বিষয় পালন করার কথা জানান তিনি।
তেল ও সেরাম
ব্যবহার: চুলে তেল ও সেরাম ব্যবহার প্রয়োজনীয়
পুষ্টি যোগায় ও স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটা চুলকে ছিঁড়ে বা ভেঙে যাওয়া রোধেও সাহায্য
করে। সেরাম চুল ধোয়ার পরেও ব্যবহার করা যায়। তবে তার আগে অবশ্যই নির্দেশনা পড়ে দেখতে
হবে।
চুল পরিষ্কার
রাখা: গ্রীষ্মকালে রোদ, ঘাম ও ময়লা চুলের
ক্ষতি করে। চুল পরিষ্কার রাখতে সপ্তাহে অন্তত দুবার শ্যাম্পু করা প্রয়োজন। মনে রাখতে
হবে, অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার চুলকে শুষ্ক করে ফেলে।
নিয়মিত কন্ডিশনার
ব্যবহার: চুলের মাঝ বরাবর অংশ থেকে শেষ
পর্যন্ত সমান ভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এট চুলকে আর্দ্র ও মসৃণ রাখতে সাহায্য
করে।
অতিরিক্ত চুল
না ধোয়া: কন্ডিশনার ব্যবহারের পর ঠাণ্ডা
পানি দিয়ে ধুলে চুলে এক ধরনের পিচ্ছিলভাব থাকে। এটা চুলে একটা মসৃণ আবরণ তৈরি করে।
ফলে বাইরের ময়লা ও ধুলাবালি থেকে চুল সুরক্ষিত থাকে।
ধীরে চুল আঁচড়ানো: চুল ভেজা অবস্থায় আঁচড়ালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই চুল শুকানোর
পরে আলতোভাবে আঁচড়ে নিতে হবে।
সিল্কের বালিশের
কভার ব্যবহার: সুতি সহজেই আর্দ্রতা শোষণ
করে। ফলে চুলের প্রাকৃতিক তেলও শোষিত হয়। সিল্ক চুলের প্রাকৃতিক তেল স্বাভাবিক রাখে।
আর ঘর্ষণের ফলে হওয়া চুলের আগা ফাটার সমস্যা রোধ করে।
আগা ছাঁটা: ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর পর নিয়মিত চুলের আগা ছাঁটা উচিত।
এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
ঘরে তৈরি প্যাক: ত্বকের মতো চুলের যত্নেও বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন। চুলের
প্যাক এই বাড়তি পরিচর্যায় সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপাদানে তৈরি চুলের প্রসাধনী ব্যবহার
চুলকে মসৃণ ও সুস্থ রাখে। ফলে চুলে ঘনভাব আসে।
আরও পড়ুন