শনিবার বিকেলে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় প্রসূতি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে বলে পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান।
রোববার দুপুরে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই নারী প্রস্রাব করতে গিয়েছিলেন। তখনি সন্তান প্রসব হয়ে যায়। তারপর টয়লেটের পাইপের ভিতরে গিয়ে আটকে যায় নবজাতক শিশুটি। পরে পাইপ ভেঙে শিশুটিকে উদ্ধার করে তারই পিতা।”
শিশুটিকে নবজাতক বিশেষ সেবা ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার মা শিল্পী বেগম প্রসূতি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের চিকিৎসায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ওই টয়লেটটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান পরিচালক।
শিল্পী বেগম পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার গণপাড়া শেখপাড়া এলাকার জেলে নেয়ামত উল্ল্যাহর ছেলে। শনিবার হঠাৎ করেই অসুস্থবোধ করলে প্রথমে তাকে স্বরূপকাঠী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি তৃতীয় তলায় প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
নেয়ামত উল্ল্যাহ বলেন, “রাতে সিজার হওয়ার কথা ছিল। বিকালে ওষুধ কিনতে আমি হাসপাতালের বাইরে ফার্মেসিতে যাই। ফিরে আইসা শুনি আমার স্ত্রী টয়লেটে সন্তান ডেলিভারি করছে।
“ফ্লোরে কান পাইতা মাইয়ার কান্নার আওয়াজ পাই। সঙ্গে সঙ্গে কমোডের মধ্যে হাত ঢুকাইয়া দেই। কিন্তু বাচ্চার লাগর পাই নাই। এরপর তাড়াতাড়ি দোতলায় যাইয়া পাইপ ভাইঙা মাইয়ারে উদ্ধার করি।”
নেয়ামত আরও বলেন, তার স্ত্রীর কোনো প্রসব বেদনা ছিল না। প্রস্রাব করতে গিয়েছিলেন। প্রসবের পর সঙ্গে থাকা লোকজন ডাক-চিৎকার শুরু করেন।
“ডেলিভারির পর মাইয়াডা কেমনে পাইপের মধ্যে গেল! এতটুকু বাচ্চা পাইপের মধ্যে ক্যামনে বাইচ্চা ছিল আল্লাই ভালো জানেন। আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া।”