গত বিশ্বকাপ থেকেই মূলত মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন। বিশ্বকাপের আগে দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারায় বাংলাদেশ। তবে ওই দুই দল তখন পাঠায়নি তাদের সেরা স্কোয়াড। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হেরে যায় স্কটল্যান্ডের কাছে। মূল পর্ব নিশ্চিত করতে পারে কেবল শেষ ম্যাচ জিতে।
মূল পর্বে গিয়ে বাংলাদেশ হেরে যায় সব ম্যাচ। বেশির ভাগ ম্যাচে লড়াই করতেও পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহর নানা মন্তব্য নিয়েও তখন বিতর্ক হয় তুমুল।
প্রবল সমালোচনার মধ্যেও তাকে অধিনায়ক রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্বকাপের পর দেশের মাঠে পাকিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয় বাংলাদেশ। পরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে প্রথম ম্যাচ জিতলেও হেরে যায় পরের ম্যাচে।
মাহমুদউল্লাহর নিজের পারফরম্যান্সও খুব ভালো নয়। সবশেষ ৭ ইনিংসে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ২১ রানের।
তবে আগামী বিশ্বকাপেও মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ খেলতে যাবে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে। ঢাকার একটি হোটেলে রোববার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি তার আস্থার হাত রাখলেন মাহমুদউল্লাহর কাঁধে।
“আমার জানা মতে, টি-টোয়েন্টিতে রিয়াদ খুবই ভালো করছে, অ্যাজ আ ক্যাপ্টেন। নেতৃত্ব এক জিনিস, খেলা আরেক জিনিস। ওর নেতৃত্বে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না।”
বিসিবি সভাপতির মতে, টি-টোয়েন্টিতে সমস্যাটা দলের পারফরম্যান্সে। সেখানে তাই নতুন ক্রিকেটার খুঁজছেন তিনি।
“টি-টোয়েন্টিতে আমাদের নতুন কিছু ক্রিকেটার দরকার। বিশ্বকাপের আগে আমাদের ১৬টা খেলা আছে, অনুশীলন ম্যাচও আছে। এখন আপনি যদি মনে করেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা টেস্ট খেলে যাবে সবগুলো, ওয়ানডে খেলবে, সবগুলো বিশ্বকাপও খেলবে, আবার টি-টোয়েন্টিও খেলবে সবগুলো, ওদের উপর তো চাপ হতেই পারে। এটা আমাদের বুঝতে হবে।”
“আমরা আশা করি, আমরা চাই আমাদের দেশের জন্য, দলের জন্য যাকে যে ফরম্যাটে দরকার, ওরা ওটাতে থাকুক। এটাই যদি ওদের সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে আমাদের জন্য খুব ভাল। হারা-জেতা নিয়ে আমি একেবারই চিন্তিত নই। কারণ আমরা একটা জিনিস করতে পেরেছি, আমরা সবাইকে হারাতে পারি, অন্তত ওয়ানডেতে। ওয়ানডেতে পারলে অন্য ফরম্যাটেও পারব। সেটার জন্য আমাদের অনেক বেশি কষ্ট করতে হবে, কাজ করতে হবে, পরিকল্পনা করতে হবে, এবং সেটাই আমরা করছি।”