রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনার পর রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মন্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসাইন।
তিনি রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্যারের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে, বুকে কোনো ব্যথা নেই। তবে চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন এনজিওগ্রাম করাতে। তাই পরিবারেরও এনজিওগ্রামের পরিকল্পনা রয়েছে।
“এই পরীক্ষা করাতে তো অন্তত তিন দিন ভর্তি থাকতে হয়। তাই স্যার ভর্তি রয়েছেন। তবে শরীর ভালো আছে।”
শনিবার লালমনিরহাটের নির্বাচনী এলাকায় (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর বুকে ব্যথা অনুভব করলে মন্ত্রীকে গভীর রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) অধ্যাপক শাকিল গফুরের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
সেখান থেকে দুপুর দেড়টার দিকে মন্ত্রীকে ঢাকায় পাঠানোর জন্য হাসপাতাল থেকে বের করা হয়। পরে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে মন্ত্রীকে রংপুর সেনানিবাস থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে। মন্ত্রীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক শাকিল গফুর দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই।
ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বাবার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া কামনা করেন।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ঈদ উদযাপনের জন্য ২৯ এপ্রিল ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের বাড়িতে যান মন্ত্রী। এ সময় তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন। ১০ মে পর্যন্ত মন্ত্রী বাড়িতে থাকার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: