ক্যাটাগরি

উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবেচনায় ডিজিটাল মুদ্রা

উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক জেষ্ঠ্য
কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ভোক্তাদের নিরাপত্তা এবং অংশগ্রহণের প্রশ্নে
প্রযুক্তিগত ঝুঁকি ও সীমবদ্ধতা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

“কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রা
বিবেচনায় নেওয়া উচিত কি না, সে বিষয়ে এ মুহুর্তে প্রাথমিক অনুসন্ধান চালাচ্ছে ব্যাংক
অফ উগান্ডা।” এতে আর্থিক নীতিমালার কোনো লক্ষ্যগুলো প্রভাবিত হবে সে বিষয়টি বিচার-বিশ্লেষণ
করে দেখার কথা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ব্যাংকের জাতীয় লেনদেন ব্যবস্থাবিষয়ক পরিচালক অ্যান্ড্রু
কাউইরি।

“আমরা কি আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থায় সবার
অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, নাকি লেনদেন জটিলতা সমাধান করতে চাচ্ছি, না কি
অর্থনীতিতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তিকে সমর্থন দিতে চাচ্ছি? এই প্রশ্নের এখনও কোনো উত্তর
নেই,” রয়টার্সকে বলেন কাউইরি।

ডিজিটাল মুদ্রা প্রশ্নে আফ্রিকার সরকারগুলো
অবস্থান কিছুটা হলেও ভিন্ন বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। গেল বছরে ক্রিপ্টো
মুদ্রা লেনদেনে স্থানীয় ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্টতার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল নাইজেরিয়ার
কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থা চালু করে দেশটির সরকার।

অন্যদিকে গেল বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই
বিটকয়েনকে অনুমোদিত মুদ্রার স্বীকৃতি দিয়েছে মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর। এ বছরের
এপ্রিল মাসে একই পদক্ষেপ নিয়েছে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক। 

প্রাথমিক অনুসন্ধান কবে নাগাদ শেষ হবে
বা ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলন হলেও সেটি কবে নাগাদ হবে, তার কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি
কাউইরি। তবে, আপাতত তারা প্রযুক্তিগত ঝুঁকির দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন
তিনি।

“ভোক্তাদের নিরাপত্তা ব্যাংক অফ উগান্ডার
জন্য একটি শঙ্কার বিষয়। উগান্ডায় ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় শিক্ষিতের হার কম। দেশের
নাগরিকদের এই অত্যাধুনিক আর্থিক উদ্ভাবন থেকে কিছুটা হলেও নিরাপত্তা প্রয়োজন।”

উগান্ডার সকল নাগরিকের সমান হারে স্মার্টফোন,
কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগও নেই। এমন পরিস্থিতিতে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থা
চালু করা হলে জনসংখ্যার একটা অংশ এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগই পাবেন না বলে জানিয়েছেন
কাউইরি।

এ ছাড়াও বাজারের প্রচলিত ক্রিপ্টো মুদ্রা
ব্যবস্থাগুলোর অস্থিতিশীলতা নিয়েও উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক শঙ্কিত বলে জানিয়েছেন
তিনি।

ইতোমধ্যেই ক্রিপ্টো মুদ্রার অনানুষ্ঠানিক
চল রয়েছে উগান্ডায়। তবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত সেবাদাতাদের সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করার পরামর্শ
দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই প্রযুক্তি বিচার বিশ্লেষণ করে নীতিমালা গঠনের চেষ্টা
করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা।

ব্লকচেইন ডেটা বিশ্লেষক প্ল্যাটফর্ম
চেইনঅ্যানালাইসিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত
৪৮০ কোটি ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টো মুদ্রা গিয়েছে উগান্ডায়।

“তাই ব্যাংক অফ উগান্ডা ক্রিপ্টো মুদ্রা
নিষিদ্ধ করেনি। আমরা শুধু কয়েকটা স্পিড ব্রেকার বানিয়ে দিয়েছি,” রয়টার্সকে বলেছেন কাউইরি।