ক্যাটাগরি

জলবায়ু সহিষ্ণু শস্য উদ্ভাবনে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের জানান, রোববার গণভবনে কানাডার একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাত অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।

সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (জিআইএফএস) পরিচালক স্টিফেন ভিশার চার সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস-প্রেসিডেন্ট (গবেষণা) ড. বালাজিৎ সিং, বিশ্ববিদ্যালয়টির বঙ্গবন্ধু রিসার্চ চেয়ার ইন ফুড সিকিউরিটি, জিআইএফএস ড. এন্ড্রু শার্প এবং ঢাকায় কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকলস।

কানাডা ও বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটগুলোর গবেষকদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে গত বছর কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি ঢাকায় এর আঞ্চলিক অফিস খুলেছে। প্রতিনিধি দলটি এই অফিস পরিদর্শন করতে এসেছে।

বৈঠককালে স্টিফেন ভিশার বলেন, তারা জিআইএফএস এর ঢাকার আঞ্চলিক অফিসকে সব ধরণের কারিগরি সহায়তা দেবেন।

প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের কাঁঠালের বহুমুখী ব্যবহার ও গাছের প্রজনন নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে বলে জানান সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও কানাডার সম্পর্কের ঐতিহাসিক দিক তুলে ধরে বলেন, ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যখন নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হল, তখন কানাডার তৎকালীন ট্রুডো সরকার কর্তৃক পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকারকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের অনুরোধ জানিয়েছিল।

“কানাডা সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখে। স্বাধীনতার পর যে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে তাৎক্ষণিকভাবেই স্বীকৃতি দেয়, কানাডা (১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের অন্যতম।”

সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।