যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ডিস্ট্রিক্ট
কোর্টে দায়ের করা ওই মামলা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক জেমস ডোনাটো। এটি টুইটারের জন্য
একটি বড় জয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সিএনএন।
২০২১ সালের ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে
দাঙ্গাকারীদের উস্কে দেওয়ার জেরে টুইটারসহ প্রথমসারির সবগুলো সামাজিক মাধ্যমেই নিষিদ্ধ
হন ডনাল্ড ট্রাম্প। পরে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়ার জন্য টুইটারের বিরুদ্ধে
মামলা করেন তিনি।
ট্রাম্পের মামলা খারিজ করার সময় ডোনাটো
বলেন, এক্ষেত্রে যুক্তরাস্ট্র সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেনি টুইটার; ট্রাম্পের বাকস্বাধীনতার
সাংবিধানিক অধিকারও খর্ব করেনি মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি। নিজের অ্যাকাউন্ট হারিয়ে
মামলা করার সময় এমন অভিযোগই করেছিলেন ট্রাম্প।
রায়ে আদালত বলেছে, টুইটার যুক্তরাষ্ট্রের
সংবিধানের প্রথম সংশোধনী খর্ব করেছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, মামলার সংশোধিত অভিযোগ
সেটি সমর্থন করে না। “তাই বাদীর প্রথম দাবি খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে।”
এরপর ডোনাটো ট্রাম্পের বাকি অভিযোগগুলোও
খারিজ করে দেন বলে জানিয়েছে সিএনএন।
ট্রাম্পে মামলা খারিজ হওয়া প্রসঙ্গে
সিএনএনকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি টুইটার।
সিএনএন বলছে, মামলা খারিজ করে দেওয়া
হলেও বিচারক ডোনাটোর দেওয়া রায়সহ আগের অভিযোগগুলো সংশোধন করে আবার আদালতের শরণাপন্ন
হতে পারবেন ট্রাম্প। তবে, রায়ে ডোনাটো বলে দিয়েছেন, মামলায় নতুন কোনো অভিযোগ যোগ করতে
পারবেন না ট্রাম্প।
টুইটারের ওপর বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের
ইলন মাস্কের ‘নজর’ পড়ার পর অনেকটাই চাপা পড়ে গিয়েছিল মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটির
বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মামলা প্রসঙ্গ। চার হাজার চারশ কোটি ডলারে প্ল্যাটফর্মটি কেনার
প্রস্তাব দিয়ে আলোড়ন তোলেন মাস্ক। মালিকানা হাতবদলের আনুষ্ঠানিকতা শেষ না হলেও মাস্কের
কাছে প্রতিষ্ঠানের সকল শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হয়েছেন টুইটারের শেয়ার মালিকরা।
খুব শিগগিরই মাস্ক টুইটার কাণ্ডারীর
আসনে বসতে যাচ্ছেন এটি নিশ্চিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল দলের সমর্থকরা আশা
করছেন মাস্কের অধীনে টুইটারের ফেরার সুযোগ পাবেন ট্রাম্প।
তবে, পুরনো অ্যাকাউন্ট ফেরত দিলেও টুইটারে
ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। বরং, নিজের সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ থিতু
হতে চান বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট।