ক্যাটাগরি

দৌলতদিয়া ঘাট: বেলা বাড়ছে, অপেক্ষার প্রহর কমছে

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে রোববার সকাল ৮টায় দেখা
গেছে, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত পণ্যবাহী
ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা ওই সারিতে একেবারেই কম, কমেছে ব্যক্তিগত
যানবাহনের সংখ্যাও।

শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা
পর্যন্ত এই ঘাটে যানজটের বিস্তৃতি ছিল ১২ কিলোমিটার। দুঃসহ ওই যানজটে ফেরির নাগাল পেতে
১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়েছিল চালক ও যাত্রীদের, ভোগান্তিরও শেষ
ছিল না।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের
‘প্রবেশদ্বার’ হিসেবে খ্যাত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক
প্রফুল্ল চৌহান জানান, এই রুটে ২১টি ফেরি চলছে, গত ২৪ ঘণ্টায়
আট হাজার ৪০০ যানবাহন পারাপার হয়েছে এসব ফেরিতে।

ফেরির নাগাল পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয় বলে জানিয়েছিলেন চালক ও যাত্রীরা।   

ফেরির নাগাল পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয় বলে জানিয়েছিলেন চালক ও যাত্রীরা।   

“গত দুই দিনের তুলনায়
যাত্রীবাহী পরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ নেই বললেই চলে। কিছু পচনশীল পণ্যবাহী
ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে। সেগুলো যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে পারাপারের চেষ্টা করা হচ্ছে।“

খুলনা থেকে ছেড়ে আসা তরমুজ বোঝাই ট্রাকচালক
মোসলেম উদ্দিন বলেন, “রাত ৪টায় ফেরি ঘাটে এসেছি। এখন দুপুর ১টা বাজলেও ফেরিতে উঠতে
পারিনি। ফেরিতে উঠতে আরও এক ঘণ্টা সময় লাগবে।”

হীরন প্রামাণিক পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক নিয়ে
এসেছেন ঝিনাইদহ থেকে। এই চালক বলেন, “সকাল ৬টার দিকে ফেরি ঘাটে এসেছি। তখন বাসের
প্রচুর জ্যাম ছিল সে কারণে ফেরিতে উঠতে পারিনি।

“এখন বাসের তেমন সিরিয়াল নেই তাই একটু একটু
এগোচ্ছি। হয়তো ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ফেরিতে উঠতে পারব।”

রাজবাড়ী পরিবহনের যাত্রী মাসুম খান বলেন,
“সকাল ১০টায় রাজবাড়ী থেকে বাসে উঠে ঘাটে এসে পৌঁছায়ছি ১১টায়। এখন ১টা বাজে। ঘাটের কাছে
চলে এসেছি হয়তো এক ঘণ্টার মধ্যেই ফেরিতে উঠতে পারব। প্রচণ্ড গরমে বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছে।
তবে টেলিভিশন ও পত্রিকার সংবাদে দেখেছি গতকালও অনেক জ্যাম ছিলো। সে অনুপাতে আজকে ভোগান্তি
অনেক কম।”

ফেরিতে উঠতে এখনও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হওয়ায় রাজধানীমুখী মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।

ফেরিতে উঠতে এখনও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হওয়ায় রাজধানীমুখী মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।

ফেরির অপেক্ষার ভোগান্তিতে যোগ হয়েছে গরমের
কষ্ট।

যাত্রী আমজাদ হোসেন বলেন, “ভোগান্তি
মনে হয় আজকে অনেক কমে গেছে। শুনেছি গতকাল পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে
১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে। আজও জ্যাম আছে তবে গতকাল থেকে কম। ঘাটে এসে তিন ঘণ্টা ধরে বসে
আছি। হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেরিতে উঠতে পারব।”

দৌলতদিয়া ঘাটে দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. আব্দুল
খালেকও জানান, গত দুদিনের তুলনায় যানবাহনের চাপ কমতির দিকে।

“সকাল থেকে পারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ
যাত্রীবাহী বাস। তবে চাপ আছে পণ্যবাহী ট্রাকের।”

বিকালের মধ্যেই পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়ে আসবে
বলে আশা করছেন এই সার্জেন্ট।

আরও
পড়ুন:

দৌলতদিয়ায় ফেরির জন্য ১২ ঘণ্টা অপেক্ষা