রোববার সকালে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রাম থেকে তিনজনের
লাশ উদ্ধারের পর ওই নারীর স্বামী আসাদুজ্জামান রুবেলকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, স্থানীয়দের কাছ
থেকে খবর পেয়ে সকাল ৭টার দিকে ওই গ্রামে গিয়ে দন্ত চিকিৎসক রুবেলের স্ত্রী লাভলী আক্তার
(৩৫), বড় মেয়ে ছোঁয়া আক্তার (১৬) এবং ছোট মেয়ে কথা আক্তারে (১২) লাশ পান তারা।
তিনজনের গলাকাটা লাশ বিছায় পড়ে ছিল।
উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে রুবেল (৪০) পেশায় একজন
দন্ত চিকিৎসক। বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার চেম্বার রয়েছে।
তাদের বড় মেয়ে ছোঁয়ার আগামী বছর বানিয়াজুরী সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ
থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। আর ছোট মেয়ে কথা স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে
পড়ত। তিনজনের লাশ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বিপ্লব বলেন, “দাম্পত্য কলহের জেরে ভোর রাতের কোনো এক সময় রুবেল তার
স্ত্রী ও দুই মেয়েকে জবাই করেছে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
রুবেলকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।”
বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়াল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, রুবেল ও লাভলীর ভালোবাসার বিয়ে। রুবেল তার শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন।
“আমরা যেটা জানি, রুবেল ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল, সে কারণে হতাশায় ছিল । এসব
নিয়ে পারিবারিক কলহ বাড়ছিল। এর জেরে সে ভোররাতের দিকে স্ত্রী আর দুই মেয়েকে খুন করেছে
বলে প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেছেন।”