রোববার দুপুর দেড়টার দিকে মন্ত্রীকে ঢাকায়
পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, “মন্ত্রীর সঙ্গে তার পরিবারের
দুই সদস্য গিয়েছেন।”
হাসপাতাল থেকে নুরুজ্জামানকে রংপুর সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়।
তারপর সেখান থেকে তাকে বহনকারী বিমান দুপুর ২টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বলে জানান
হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার আহসান হাবীব।
শনিবার লালমনিরহাটের নির্বাচনী এলাকায় (কালীগঞ্জ-আদিতমারী)
একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর বুকে ব্যথা অনুভব করলে মন্ত্রীকে গভীর রাতে রংপুর মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তিনি করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)
অধ্যাপক শাকিল গফুরের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
অধ্যাপক শাকিল গফুর রোববার বেলা সাড়ে ১২টায়
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তিনি
বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই।
রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বিমল
রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মন্ত্রীকে রাত পৌনে ৩টার দিকে নিয়ে আসা হয়।
এখন স্থিতিশীল আছেন।”
এদিকে দুপুরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ
জাকির হোসাইন বলেন, বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে মন্ত্রীকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
নুরুজ্জামান
আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, “উন্নত চিকিৎসার জন্য
বাবাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।”
মন্ত্রীর
সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া কামনা করেন ছেলে।
ঈদ উদযাপনের
জন্য ২৯ এপ্রিল ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের বাড়িতে যান মন্ত্রী। এ সময় তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতে
অংশ নেন। ১০ মে পর্যন্ত মন্ত্রী বাড়িতে থাকার কথা ছিল। বয়স্ক মানুষ, গরমে হয়তো এমনটা
হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।