ক্যাটাগরি

সাবেক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে তথ্য চুরির মামলা টেসলার

সাবেক কর্মী অ্যালেক্সান্ডার ইয়াত্সকভ
টেসলার নিজস্ব সুপারকম্পিাউটার প্রকল্প ‘ডোজো’র গোপন ডেটা অনুমতি ছাড়াই নিজের ব্যক্তিগত
ডিভাইসে ডাউনলোড করেছেন কিন্তু চোরই তথ্য ফেরত দিচ্ছেন না বলে মামলার নথিতে অভিযোগ
করেছে টেসলা।

ইয়াত্সকভ নিজের অতীত কাজের ইতিহাস এবং
দক্ষতা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন বলে উঠে এসেছে বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে।
জানুয়ারি মাসে টেসলায় থার্মাল ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ডোজোর কুলিং সিস্টেমের
নকশা তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন ইয়াত্সকভ।

টেসলার নিজস্ব নিউরাল নেট ট্রেইনিং কম্পিউটার
হেচ্ছ ডোজো। বিশাল আকারের ডেটা একযোগে বিশ্লেষণের সক্ষমতা রয়েছে এর। স্বচালিত গাড়ির
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) সফটওয়্যারকে প্রশিক্ষণ দিতে সুপারকম্পিউটারটি ব্যবহার
করে টেসলা।

বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির
অভিযোগ, ডোজোর কুলিং সিস্টেমসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নানা গোপন তথ্যে প্রবেশাধিকার ছিল
ইয়াত্সভের। টেসলা বলছে, তথ্য চুরির অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি।

টেসলা জানিয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য
গোপন রাখার চুক্তিতে স্বাক্ষর করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকৌশলীর।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, কর্মস্থলের ডিভাইস এবং অ্যাকাউন্ট থেকে টেসলার গোপন তথ্য সরিয়ে
নিজের ব্যক্তিগত ডিভাইসে নিয়ে ফাইল বানিয়ে সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন ইয়াত্সকভ।

এ ছাড়াও, ব্যক্তিগত ইমেইল ঠিকানা থেকে
কর্মস্থলের ইমেইল অ্যাড্রেসে গোপন ডেটা মেইল করেছিলেন তিনি।

ইয়াৎসকভ টেসলার কাছে তথ্য চুরির অভিযোগ
স্বীকার করার পর তাকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় টেসলা, একই সময়ে চোরাই
তথ্য পুনরুদ্ধারের জন্য তার ব্যক্তিগত ডিভাইসগুলো প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করতে
বলেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

মামলার আবেদনের নথিপত্র বলছে, ইয়াৎসকভ
নিজের অপরাধের প্রমাণ লুকাতে একটি ‘ডামি’ ল্যাপটপ জমা দেন টেসলার কাছে। চোরাই ডেটার
কিছুই ছিল না ওই ল্যাপটপে এবং এমনভাবে সবকিছু সাজানো হয়েছিল যাতে মনে হয় যে কেবল ‘চাকরি
প্রস্তাবের চিঠির মতো নিরীহ তথ্য রাখা ছিল ল্যাপটপটিতে।’

২ মে টেসলার চাকরিতে ইস্তফা দেন ইয়াৎসকভ।
সাবেক কর্মীর কাছ থেকে এখন ক্ষতিপূরণ চাইছে টেসলা, পাশাপাশি চোরাই তথ্য ফেরত পেতে আদালতের
নির্দেশ চাইছে বিশ্বের শীর্ষ বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা।