ক্যাটাগরি

‘অবিশ্বাস্য’ রোনালদোকে ইউনাইটেডেই দেখতে চান বেকহাম

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দুই প্রজন্মের
দুই গ্রেটের মধ্যে যোগসূত্র গাঁথা হয়ে আছে জার্সিতে। একসময় ক্লাবের সাত নম্বর জার্সিতে
মাঠ মাতিয়েছেন মাঝমাঠের শিল্পী বেকহাম। রোনালদো পরে এই জার্সির ‘মাহাত্ম‍্য’ বাড়িয়ে
তোলেন আরও, নিয়ে যান নতুন উচ্চতায়। ইউনাইটেডে নিজের প্রথম অধ্যায়েই নিজেকে তিনি তুলে
নেন গ্রেটনেসের পর্যায়ে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে দলের চরম দুঃসময়েও তিনি উজ্জ্বল ব্যক্তিগত
পারফরম্যান্সে।

চলতি মৌসুম দলের জন্য চরম হতাশার হলেও সব
প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৪ গোল করেছেন রোনালদো, লিগে করেছেন এখনও পর্যন্ত ১৮টি। তার ধারেকাছে
নেই দলের আর কেউ।

তবে মৌসুম যত শেষের দিকে এগোচ্ছে, রোনালদোকে
নিয়ে জল্পনাও তত বাড়ছে। যদিও ক্লাবের সঙ্গে তার চুক্তির আরেক মৌসুম আছে এখনও। কিন্তু
আগামী মৌসুমে নতুন কোচের দায়িত্বে দল পুনর্গঠনের পালা চলবে ক্লাবে। নতুন কোচের পরিকল্পনায়
৩৭ বছর বয়সী রোনালদো কতটা থাকবেন?

রোনালদো নিজেও কি থাকতে চাইবেন এই ক্লাবে?
আগামী মৌসুমে যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড!

প্রশ্ন তাই অনেক। তবে বেকহামের চাওয়া একটি
সমাধানই। মায়ামি গ্রাঁ প্রিঁ আসরে স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বললেন, দুই পক্ষেরই এখনও প্রয়োজন
পরস্পরকে।

“তার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ (এখানে থকে
যাওয়া)—আমরা সবাই জানি, ইউনাইটেড তার কতটা জুড়ে আছে। সে নিজে যেটা সবচেয়ে ভালো পারে,
এখনও তা করে যাচ্ছে। সে যা করে যাচ্ছে, তার এই বয়সে এমন কিছু করা সত্যিই অবিশ্বাস্য।
আশা করি তাই আরও এক-দুই বছর এটা চলতে থাকবে।”

ইউনাইটেডের সোনালি সময়ের সেনানী বেকহাম।
এই ক্লাবের হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছেন তিনি ৬ বার। সেই ক্লাব ২০১২-১৩
মৌসুমের পর আর শিরোপা জিততে পারেনি। এবার তো পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরের ওপরে তারা উঠতে
পারবে না নিশ্চিতভাবেই, বরং নেমে যেতে পারে আরও।

এই দুঃসময়েও সমর্থকরা যেভাবে ক্লাবের প্রতি
ভরসা রেখে সমর্থন জুগিয়ে গেছেন, এই ভালোবাসার ছোঁয়ায় ক্লাব জেগে উঠবে বলে বিশ্বাস বেকহামের।

“মৌসুমের শেষটা কঠিন ছিল সবার জন্য। তবে
শেষ তো হচ্ছে, অন্তত এটা ভেবে স্বস্তি পাবেন সমর্থকদের অনেকে। চড়াই-উৎরাইয়ে ভরা কঠিন
এক মৌসুম এটি। ফুটবলাররা চেষ্টা করেছে নিজেদের সেরাটা দিয়ে, ম্যানেজার চেষ্টা করেছেন।”

“কয়েক মাস আগে আমি গিয়েছিলাম স্টেডিয়ামে
খেলা দেখতে। প্রতিটি আসন তখন পূর্ণ ছিল। তার মানে, সমর্থকরা বিশ্বাস হারায়নি, দলের
পাশে থেকে গেছে। ইউনাইটেড সমর্থকরা এটাই করে থাকেন। গত কয়েক বছরে এই দলকে যেসবের মধ্য
দিয়ে যেতে হয়েছে, খুব বেশি দলের সেই অভিজ্ঞতা হয়নি। তার পরও সমর্থকরা কানায় কানায় পূর্ণ
করেছেন মাঠ। (মাঠের পারফরম্যান্সেও) সময় বদলাবেই।”