সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার রেদোয়ান আহমেদ কলেজের ক্যাম্পাস-২ এর মমতাজ আহমেদ ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মো. ফয়েজ ইকবাল জানান।
তিনি আরও বলেন, “এরপরই সাব্কে প্রতিমন্ত্রী জনতার রোষানল থেকে বাঁচতে থানায় এসে আশ্রয় নেন। আমরা তাকে আটক করেছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।”
গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চান্দিনা পৌরসভার রূপনগর এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী মাহমুদুল হাসান সরকার জনি (২২) এবং পৌরসভার চান্দিয়ারা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী নাজমূল হোসেন নাঈম (২৮)। তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও এলডিপির পক্ষ থেকে ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। দুপুর থেকেই দুপক্ষের লোকজন সেখানে জড়ো হতে থাকেন। আড়াইটার দিকে রেদোয়ান আহমেদ গাড়িতে করে সেখানে যান। তখন দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার তৈরি হয়। এরই এক পর্যায়ে গুলির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পরই রেদোয়ান আহমেদ থানায় গিয়ে আশ্রয় নেন। পাশাপাশি তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা গিয়ে থানার ফটক ঘেরাও করে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রেদোয়ান আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম ছিল। আমাকে প্রধান অতিথি করে চিঠির মাধ্যমে পৌর এলডিপি প্রচার চালায়। এরই মধ্যে কলেজের প্রধান ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকে প্রোগ্রাম করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। আমাদের ক্যাম্পাস-২ মমতাজ আহমেদ ভবনে পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম করার কথা।
“দুপুরে আমি ক্যাম্পাস-২ এর সামনে গেলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের লোকজন আমার গাড়িতে হামলা করে। আমি আত্মরক্ষার্থে আমার লাইসেন্স করা শটগান থেকে গুলি চালাই।”
চান্দিনার সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, “কার গায়ে গুলি লেগেছে আমি বলতে পারব না। পরে আমি নিজেই থানায় গিয়ে আশ্রয় নেই।”
আয়োজক সংগঠন ছাত্রলীগের উপজেলা কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সামিরুল খন্দকার রবি বলেন, “রেদোয়ান আহমেদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ঈদের আগেই আজকের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়। এরই মধ্যে পৌর এলডিপিও একই দিনে একই স্থানে ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করে।
“দুপুর থেকে ছাত্রলীগের আয়োজনে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা মমতাজ আহমেদ ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করে। আড়াইটায় দিকে রেদোয়ান আহমেদ গাড়ি নিয়ে ওই ক্যাম্পাসের সামনে এসে গাড়ি থেকে দুটি গুলি করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে থানায় গিয়ে আশ্রয় নেয়।”
সামিরুল খন্দকার রবি আরও বলেন, “রেদোয়ান আহমেদের গুলিতে জনি ও নাজমুল গুলিবিদ্ধ হন। তাদেরকে প্রথমে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।”
জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ফয়েজ ইকবাল বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: