ক্যাটাগরি

কৃষ্ণচূড়ায় রাঙা জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাস

দূর থেকে দেখলে মনে হবে গাছগুলোতে আগুন লেগেছে, কাছে গেলে চোখ আটকে থাকে
রক্তিম আভার ফুলের সমাহারে। গাছের নিচে অজস্র ঝড়াপাপড়ি যেন বিছিয়ে রাখে লাল গালিচা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে সারি
সারি কৃষ্ণচূড়া গাছ। গাছে গাছে নয়ানভিরাম রাঙা ফুলের মায়া।

দূর থেকে দেখলে মনে হবে গাছগুলোতে আগুন লেগেছে

দূর থেকে দেখলে মনে হবে গাছগুলোতে আগুন লেগেছে

ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার, বটতলা, পরিবহন চত্বর, মুন্নী সরণী, কয়েকটি অনুষদ
ও হলের সামনের খোলা জায়গা, কোথায় নেই এই কৃষ্ণচূড়া! দেখে মনে হতেই পারে এ যেন কৃষ্ণচূড়ার
ক্যাম্পাস।

তবে রাধাচূড়া, সোনালু আর জারুল ফুলও আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।

সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের শিক্ষার্থী তানজিনা আমান তানজুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “ক্যাম্পাসে যেদিকে তাকাই মনে হয় কৃষ্ণচূড়া গাছগুলোতে আগুন লেগেছে।
কিছুদূর পরপরই একেকটা গাছ আর তাতে উজ্জ্বল লাল টুকটুকে ফুল। মনে হয় প্রকৃতিতে আধিপত্য
বিস্তার তারাই করছে।”

দেখে মনে হতেই পারে এ যেন কৃষ্ণচূড়ারই ক্যাম্পাস

দেখে মনে হতেই পারে এ যেন কৃষ্ণচূড়ারই ক্যাম্পাস

কৃষ্ণচূড়ার নজরকাড়া এসব ছবি ঘুরছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফেইসবুকের
বিভিন্ন গ্রুপেও।

ঈদের ছুটিতে অনেক শিক্ষার্থী এখন বাড়ি আছেন। তাদের মধ্যে একজন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব
বিভাগের ঐন্দ্রিলা মজুমদার অর্ণা।

অর্ণা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদের ছুটিতে এখনও বাড়িতে
আছি। ফেইসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়া ফুলের ছবি দেখে মন খুবই অস্থির
হয়েছে। কবে ছুটি শেষ হবে, আর ক্যাম্পাসে যাব, এই অপেক্ষায় আছি।”

আগুনের মতো লাল দেখে হয়তো এই ফুলের নাম ইংরেজিতে ‘ফ্লেম ট্রি’ রাখা হয়েছে
বলে অনেকে মনে করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে সারি সারি কৃষ্ণচূড়া গাছ

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে সারি সারি কৃষ্ণচূড়া গাছ

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুল কবীর হিমেল
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকা। এ ফুলের
বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিখ রেজিয়া। মূলত আগুন লাল ফুলের জন্য বৈশাখজুড়ে সবার নজর কাড়তে
সক্ষম এ ফুল। এ ফুল পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে গুলমোহর নামে পরিচিত।”

একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ সর্বোচ্চ ১২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। শীতকালে
পাতা ও ফুল ঝড়ে যায়, বসন্তে নতুন পাতা ও কুশিতে নতুন সাজে সেজে ওঠে গাছ।