ক্যাটাগরি

জেলেনস্কি সরকারের সমালোচনা মারিউপোলের যোদ্ধাদের

মারিউপোলের এই বিশাল ইস্পাত কারখানা এলাকাটি কয়েক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়ার বাহিনীগুলো, তারা ইউক্রেইনের আজভ ব্যাটেলিয়নের প্রতিরোধকারীদের তাদের অস্ত্র নামিয়ে রেখে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছে।

ইউক্রেইনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিউপোলের ওপর রাশিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পথে বাধা হয়ে আছে এই একটি কারখানায় থাকা হাজারখানেক ইউক্রেইনীয় যোদ্ধা। তাদেরকে পরাস্ত করতে পারলেই মারিউপোল পুরোপুরি দখলে নেওয়ার দাবি করতে পারবে রাশিয়া। কিন্তু ইস্পাত কারখানাটির দুর্ভেদ্য বাংকার ও গোলকধাঁধাময় টানেলগুলোতে আশ্রয়ে নিয়ে থাকা ইউক্রেইনীয় যোদ্ধারা জানিয়েছেন, তারা রাশিয়ার বাহিনীগুলোর কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।

তবে সেখানে থাকা আহতদের সরিয়ে নিতে সাহায্য করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন তারা।

আংশিক ধ্বংস হয়ে যাওয়া ওই কারখানাটি থেকে আজভ ব্যাটেলিয়নটির সদস্যরা এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জানায়, তারা পরাজয় স্বীকার করবে না।

তাদের একজন লেফটেন্যান্ট ইল্লা সামোইলেনকো বলেন, “আমাদের পক্ষে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব গ্রহণ করা অসম্ভব কারণ শত্রুকে এতো বড় উপহার দিতে পারিনা আমরা। আমরা মূলত মৃত মানুষ। আমাদের বেশিরভাগই এটা জানে, তাই আমরা এতোটা নির্ভয়ে লড়াই করছি।”

সামোইলেনকো বলেন, “কেউই আশা করেনি আমরা এখানে এত দীর্ঘ সময় টিকে থাকব। কিন্তু আমরা এখনও টিকে আছি। এখনও (কারখানা) নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছি।”

এ সংবাদ সম্মেলনেই প্রকাশ্যে ভলোদোমির জেলেনস্কি সরকারের সমোলোচনা করে কিইভ মারিউপোল রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা।

ছবি: রয়টার্স

ছবি: রয়টার্স

আজভ ব্যাটেলিয়নের এ সমালোচনার জবাবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, অবরুদ্ধ শহরটিকে মুক্ত করতে যে ধরনের ভারী অস্ত্রশস্ত্র দরকার তা ইউক্রেইনের নেই।

তার কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই ওই কারখানাটিতে আটকা পড়া সব বেসামরিককে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। 

মারিউপোল দখল করাটা রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আবার এই নগরীর পতন হতে না দেওয়াটাও ইউক্রেইনের প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্র্ণ। একারণে আজভস্তাল কারখানাটি দুই পক্ষের ভাবমূর্তির জন্যই একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে।

জাতিসংঘের পাশাপাশি রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি (আইসিআরসি) মারিউপোল থেকে বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সমন্বয় করছে। রোববার মারিউপোল থেকে সরিয়ে নেওয়া ১৭০ জন বেসামরিক অপেক্ষাকৃত নিরাপদ শহর জাপোজিজজিয়া গিয়ে উপস্থতি হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা। 

তারা আরও জানায়, ৫ মে থেকে শুরু হওয়া চার দিনের এ অভিযানে আজভস্তাইল ইস্পাত কারখানা থেকেও ৫১ বেসামরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর আগে মে-র প্রথমদিকে মারিউপোল থেকে প্রায় ৫০০ বেসামরিককে জাপোরিজজিয়ায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। 

আরও পড়ুন:


বিজয় দিবসে ভাষণ দিলেন পুতিন, ‘প্রলয়’ সংকেত দিলেন না
 


আত্মসমর্পণ করবে না মারিউপোলের ইস্পাত কারখানার যোদ্ধারা


স্কুলে বোমার আঘাতে ৬০ জন নিহত হয়েছে: জেলেনস্কি
 


ইউক্রেইনে অশুভ শক্তি ফিরে এসেছে: জেলেনস্কি