ট্যাবলেট বিক্রি কমে যাওয়ার বিষয়টি উঠে
এসেছে সিংগাপুর-ভিত্তিক প্রযুক্তি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ‘ক্যানালিস’-এর সর্বশেষ গবেষণায়।
বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বছরে ট্যাবলেট
বিক্রি কমেছে দুই দশমিক আট শতাংশ। ট্যাবলেট-এর সর্বমোট বিক্রি সম্প্রতি ৩৯ হাজার ৭১৬টি
থেকে কমে ৩৮ হাজার ৫৯৫টিতে এসে ঠেকেছে।
তবে, চলমান এই ‘ট্রেন্ড’কে এড়াতে পেরেছে
অ্যামাজন। কারণ, প্রতিষ্ঠানটির ট্যাবলেট বিক্রি ৩.৩ শতাংশ বেড়েছে এবং বাজারে দখল আট
দশমিক সাত শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে নয় দশমিক দুই শতাংশ।
ট্যাবলেট বাজারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে
অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটি এক কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট ট্যাবলেট পাঠিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী
ট্যাবলেট শেয়ারের ৩৮.৬ শতাংশ। তবে, ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিক থেকে দুই শতাংশ ‘শিপমেন্ট’
কমেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার।
‘ক্যানালিস’-এর গবেষণা অনুযায়ী, দ্বিতীয়
অবস্থানে থাকা স্যামসাং পাঠিয়েছে ৭৮ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট। এটি বৈশ্বিক ট্যাবলেট শেয়ারের
২০.৪ শতাংশ। তবে, একই সময়ে ২০২১ সাল থেকে সর্বমোট শিপমেন্ট কমেছে এক দশমিক সাত শতাংশ।
গবেষণা বলছে, বাজার অবস্থা পরিবর্তনের
প্রভাব সকল ট্যাবলেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের উপর পড়েনি। হুয়াওয়ে এবং লেনোভোর উপর এই
প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়েছে। ফলে, যথাক্রমে তাদের বিক্রি কমেছে ২১.৭ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ।
‘ক্যানালিস’-এর গবেষণা বলছে, মহামারীর
কারণে কেবল ট্যাবলেটের বাজারই ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি, বরং আরও বিস্তৃত ল্যাপটপ ও পিসির বাজারেও
এর প্রভাব পড়েছে। এতে ২০২১ সাল থেকে সর্বমোট শিপমেন্ট কমেছে দুই দশমিক নয় শতাংশ।
২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে কারভানা
ছেড়েছে প্রায় ৫০ লাখ ক্রোমবুক। যেখানে প্রধান বিক্রেতারা শিপমেন্টে ব্যপক ক্ষতির মুখোমুখি
হয়েছে। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ক্রয় কমে যাওয়াতে এই ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে, ক্রোমবুক বিক্রিতে সবচেয়ে বাজে
সময় গিয়েছে এইচপি’র। তাদের বিক্রি ৮২ শতাংশ কমে শিপমেন্ট হয়েছে মাত্র সাত লাখ ৭৫ হাজার
ইউনিট।
সরবরাহের ক্ষেত্রে ট্যাবলেট বাজারও এমন
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্যানালিস।
এ ছাড়া, রাশিয়া ও ইউক্রেইনের যুদ্ধ এবং
চীনে কোভিড-১৯ লকডাউনের কারণে ট্যাবলেট উৎপাদনে সমস্যা হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে টেকরেডার।