এর আগে লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর
সেরহি হাইদাই জানিয়েছিলেন, বিলোহরিভকা গ্রামের ওই ভবনটিতে ৯০ জন আশ্রয় নিয়েছিল, তাদের
মধ্যে ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
হাইদাইয়ের অভিযোগ, রাশিয়ার বিমান
থেকে শনিবার বোমাটি ফেলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে রাশিয়া কোনো মন্তব্য করেনি।
বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনা
ও ইউক্রেইনের রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারা সরকারি বাহিনীগুলোকে ঘিরে ফেলার
চেষ্টা করতে থাকায় প্রচণ্ড লড়াই দেখছে লুহানস্ক। গত আট বছর ধরে এই অঞ্চলের বেশিরভাগ
অংশই রাশিয়ার সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
টেলিগ্রামে ওই গভর্নর লিখেছেন,
বোমা বিস্ফোরণে ভবনটি ভেঙ্গে পড়ে আর এতে আগুন ধরে যায়, আগুন নেভাতে দমকলকর্মীদের তিন
ঘণ্টা সময় লেগেছে।
তিনি জানান, বিলোহরিভকা গ্রামের
প্রায় সব মানুষ ওই স্কুলটির বেইসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিল। ধ্বংসস্তূপ সরানোর পরই কেবল
মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
জানিয়েছেন, এই প্রাণঘাতী হামলায় তিনি ‘আতঙ্কিত’ বোধ করছেন। ‘যুদ্ধ চলাকালে বেসামরিক
নাগরিকদের সবসময় রেহাই দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
রাশিয়া ইউক্রেইনে বেসামরিক
লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে এবং বেসামরিক
নাগরিকদের হত্যা করছে বলে বহুদিন
ধরেই অভিযোগ
করে আসছে
ইউক্রেইন সরকার
ও পশ্চিম
বিশ্ব। তারা রাশিয়ার
বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের
অভিযোগও তুলেছে।
প্রায় ১১ সপ্তাহ আগে
ইউক্রেইনে যে আগ্রাসন শুরু করেছিল
রাশিয়া তা
এখন পর্যন্ত হাজারো
মানুষের প্রাণ
কেড়ে নিয়েছে। অনেক নগরী ধ্বংস
হয়ে গেছে। ৫০ লাখের বেশি
মানুষ দেশ
ছেড়ে পালিয়ে
প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন:
আত্মসমর্পণ করবে না মারিউপোলের ইস্পাত কারখানার যোদ্ধারা