ক্যাটাগরি

২০২৩ সালেই ‘বিগ টেক’-এর লাগাম টেনে ধরবে ইইউ

ইউরোপিয়ান কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট
মার্গ্রেথ ভেস্টেগার নতুন আইন কার্যকর করার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন ঘোষণা দিয়েছেন গত সপ্তাহের
ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন নেটওয়ার্ক (আইসিএন) সম্মেলনে।

আইসিএনে ভেস্টেগার বলেন, “আগামী বসন্তে
ডিএমএ কার্যকর হবে এবং প্রথম নোটিফিকেশন আসার সঙ্গে সঙ্গেই যেন আইনটি প্রয়োগ করা যায়
আমরা তার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

ইউরোপিয়ান কমিশন ‘গেইটকিপার’ প্রতিষ্ঠানগুলো
আইন লঙ্ঘন করলেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ভেস্টেগার।
‘গেইটকিপার’ শ্রেণির প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে মেটা, গুগল, অ্যামাজন, অ্যাপল ও মাইক্রোসফটের
মতো প্রথমসারির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।

ডিএমএ কার্যকর করার জন্য ইউরোপিয়ান কাউন্সিল
এবং পার্লামেন্টের অনুমোদন লাগবে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ। বাজার মূলধনের
আকার আট হাজার দুইশ কোটি ডলারের বেশি এবং একটি সামাজিক প্ল্যাটফর্ম আছে অথবা প্রতি
মাসে সাড়ে ৪ কোটি নিয়মিত ব্যবহারকারী আছে এমন অ্যাপগুলোর মূল প্রতিষ্ঠানকে ‘গেইটকিপার’
শ্রেণিভূক্ত করা হয়েছে আইনে।

নতুন আইনে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর
বড় আকারের জরিমানা আরোপের সুযোগ আছে। এক বছরে বিশ্ব বাজার থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো যা কামাই
করে তার ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করা হতে পারে। আর একই অপরাধ বারবার করলে জরিমানার
আকার বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২০ শতাংশে।

ভার্জ জানিয়েছে, ডিএমএ-র অধীনে প্রযুক্তি
প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে নিজের অবস্থান কমিশনকে জানানোর জন্য তিন মাস সময় পাবে। এরপর
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে নিশ্চিকরণের জন্য দুই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

“সামনের অধ্যায়টি উত্তেজনাপূর্ণ হবে।
এর জন্য অনেক কঠিন প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে,” বলেন ভেস্টেগার।

“কমিশনের ভেতরেই নতুন কাঠামো তৈরি করতে
হচ্ছে, নতুন কর্মী নিয়োগ দিতে হচ্ছে। নতুন আইটি কাঠামো তৈরি করতে হচ্ছে। আইনি পাঠ্যের
খসরাও তৈরি করতে হচ্ছে।”

ডিএমএ কার্যকর করার দিন তারিখ পিছিয়ে
দেওয়ার ফলে ইউরোপিয়ান কমিশন আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাবে বলে মন্তব্য করেছে
ভার্জ। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান ব্যবসা
কৌশলে বাধা সৃষ্টি করবে আইনটি।

উদাহরণ হিসেবে অ্যাপলকে বিবেচনায় নেওয়া
যেতে পারে। নতুন আইনের অধীনে নিজস্ব অ্যাপ স্টোরের বাইরে থেকেও অ্যাপ ডাউনলোডের সুযোগ
দিতে বাধ্য হতে পারে অ্যাপল। অথবা, আইমেসেজ আর হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যে সরাসরি মেসেজ আদান-প্রদানের
সুযোগ সৃষ্টির জন্য বাধ্য করা হতে পারে প্রতিষ্ঠানটিকে। এমন নীতিমালা আরোপ করা হলে
‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’ সেবা নিয়ে বিপাকে পড়বে হোয়াটসঅ্যাপ।