সংস্থার উপ পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান, তদন্তে তার নামে ১২ কোটি ৪২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় সোমবার কমিশন অভিযোপত্র অনুমোদন দিয়েছে।
“তদন্ত কর্মকর্তা শিগগির আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করবেন,” যোগ করেন তিনি।
আরমানের বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার তদন্ত সম্প্রতি শেষ হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আরমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় ১২ কোটি ৪২ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে ৬ কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজার ৩৭৯ টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করে ব্যয় করার প্রমাণ পাওয়া যায়।
ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার সম্রাট, আরমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলা
অবৈধ সম্পদের মামলায় আরমান রিমান্ডে
আরমানের মাধ্যমে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের মামলা সম্রাটের বিরুদ্ধে
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
এর আগে ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে যান তৎকালীন যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল
চৌধুরী সম্রাট। পরে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
কুমিল্লায় অভিযানের সময় যুবলীগ নেতা আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়ায় সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায়। তার কাছে ১৪০টি ইয়াবা পাওয়ায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে র্যাব।
ওই সময় ঢাকার রমনা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়।