চেজারে তাভেল্লা
সাত বছর আগের এই মামলার বিচার চলছে ঢাকা মহানগর
জজ আদালতে। কোভিড মহামারীর কারণে ২০১৯ সালের অক্টোবরের পর মামলাটি ঝুলেছিল।
সোমবার আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাদের একজন সিআইডি পরিদর্শক জিহাদুর ইসলাম। এরপর তাকে জেরা করেন আসামি আব্দুল মতিনের
আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
জেরা শেষ হওয়ার আগে বিচারক কে এম
ইমরুল কায়েশ আগামী ৩১ মে শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক
করে দেন।
ঢাকায় বিদেশি খুনের এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী
৭০ জন। জিহাদকে নিয়ে ৪০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
হচ্ছে বলে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি তাপস
পাল জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আরও ৩/৪ জনকে আমরা রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী হিসাবে ডাকতে পারি।
এরপর মামলার বাদী ও চার্জশিট
দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আর এর মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের
সমাপ্তি ঘটবে। এরপর আত্মপক্ষ সমর্থন ও বিচারের সর্বশেষ ধাপ যুক্তিতর্কের পর রায়
ঘোষণা করতে পারবেন বিচারক।”
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান-২
নম্বরে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন তাভেল্লা, যিনি ত্রাণকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন।
তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডের পর ইসলামিক স্টেটের (আইএস)
পক্ষ থেকে দায় স্বীকারের বার্তা আসার খবর এলেও বাংলাদেশ পুলিশের তদন্তে ভিন্ন ঘটনা
উদ্ঘাটিত হয়।
২০১৬ সালের ২৭ জুন ঢাকা মহানগর
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ডিবি) গোলাম রাব্বানী সাতজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র
দেন। তাতে প্রধান আসামি করা হয় বিএনপি নেতা ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আব্দুল
কাইয়ুমকে।
৫ বছরেও শেষ হয়নি তাভেল্লা হত্যার বিচার
তাভেল্লা হত্যার অভিযোগপত্রে কাইয়ুমসহ আসামি ৭
ওই বছরের ২৫ অক্টোবর সাতজনের
বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। এরপর ওই বছরের ২৪ নভেম্বর
শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এবং
৯ অক্টোবর মামলার প্রথম তদন্ত
কর্মকর্তা গুলশান থানার তৎকালীন পরিদর্শক সাব্বির রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছিল।
তারপর মহামারীর কারণে আদালত বন্ধ থাকায় বিচার আর এগোয়নি।
আসামির তালিকায় কাইয়ুম
ছাড়াও রয়েছেন তার ভাই আব্দুল মতিন, তামজিদ আহম্মেদ রুবেল ওরফে শুটার রুবেল, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাকতি রাসেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগ্নে রাসেল, সাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরীফ ও মো. সোহেল ওরফে ভাঙ্গারি সোহেল।
এদের মধ্যে কাইয়ুম ও ভাঙ্গারী
সোহেল পলাতক। ভাগ্নে রাসেল, চাকতি
রাসেল, শরীফ ও রুবেল আদালতে
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মতিন জামিনে রয়েছেন।