রাষ্ট্রপক্ষের
আইনজীবী এস এম আব্রাহাম লিংকন জানান, জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান সোমবার আসামিদের
উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন।
এ ছাড়া
দণ্ডিতদের ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয় যা অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া
হয় বলে লিংকন জানান।
দণ্ডিতরা হলেন চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ
ইউনিয়নের কাচকোল এলাকার ঘেতু শেখের ছেলে রাশেদ (৪০), মকবুল হোসেন (৫৪) ও তসলিম উদ্দিন
(৫৬), দারাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাদের (৪৩), মতিয়ার রহমানের ছেলে মিন্টু (৪১), মনির
উদ্দিনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৪৪), সেকেন্দার আলীর ছেলে মোনাল মিয়া ওরফে মোন্নাফ (৪৪)
ও ওসমান মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া (৫০)।
মামলার
বরাতে আব্রাহাম লিংকন বলেন, শ্যালো মেশিনে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে কাচকোল বাজারের
শিক্ষক মোখলেসুর রহমানের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী নুরনবীর (২২) সঙ্গে আসামিদের বাকবিতণ্ডা
হয়। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হলেও আসামিরা সন্তুষ্ট ছিলেন না। পরে আসামিরা
রাশেদ নুরনবীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। এরপর ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি নুরনবীর দোকানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে
হত্যা করে।
হত্যার
পরদিন নিহতের বাবা মোখলেসুর রহমান নয় জনকে আসামি করে চিলমারী থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরেক আসাম
চাঁন মিয়ার মৃত্যু হওয়ায় তাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মামলাটির
আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আমজাদ হোসেন ও সামসুদ্দোহা রুবেল; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এস
এম আব্রাহাম লিংকন।
মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে এস এম আব্রাহাম
লিংকন বলেন, “রায়ে সত্য উন্মোচিত হয়েছে। আদালত যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল তাতে এমন অন্যায়
কাজ করতে মানুষ দ্বিতীয়বার ভাববে।”