স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২ থেকে
৮ মের
মধ্যে দেশে
৮৩ জনের
মধ্যে সংক্রমণ
ধরা পড়েছে,
আগের সপ্তাহে
এই সংখ্যা
ছিল ১৬০
জন।
গত এক
সপ্তাহে কারও
মৃত্যু হয়নি
করোনাভাইরাসে। এর আগের সপ্তাহেও সারাদেশে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর
খবর আসেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক
দিনে দেশে
৩০ জন
নতুন রোগী
শনাক্ত হয়েছে,
যারা দেশের
সাত জেলার
বাসিন্দা।
এই ২৪
ঘণ্টায় নতুন
কোনো মৃত্যুর
খবর আসেনি।
ফলে এ
নিয়ে টানা
১৯দিন কোভিডে
মৃত্যুহীন কাটাল বাংলাদেশ।
গত এক
দিনে ৭
হাজার ৪১৩
জনের নমুনা
পরীক্ষা করে
ওই ৩০
জন কোভিড
রোগী শনাক্ত
হয়েছে। তাদের
মধ্যে ২০
জন ঢাকার,
তিনজন টাঙ্গাইলের,
একজন চট্গ্রাম,
একজন নওগাঁ, দুইজন খুলনা, একজন
মেহেরপুর, এবং দুইজনর বরিশাল জেলার
বাসিন্দা।
নমুনা পরীক্ষা
অনুযায়ী শনাক্তের
হার শূন্য
দশমিক ৪০
শতাংশ। আগের
দিন এই
হার শূন্য
দশমিক ৪১
শতাংশ ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন রোগীদের
নিয়ে দেশে
শনাক্ত রোগীর
সংখ্যা বেড়ে
হয়েছে ১৯
লাখ ৫২
হাজার ৮২৯
জন। মৃত্যুর
সংখ্যা আগের
মতই ২৯
হাজার ১২৭
জন রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুর দিকে ২০২০
সালের ১৮
মার্চ প্রথম
মৃত্যুর কথা
জানায় স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর। এরপর থেকে একটানা ১৯
দিন কখনোই
মৃত্যুহীন ছিল না।
গত ২৪
ঘণ্টায় করোনাভাইরাস
থেকে সুস্থ
হয়ে উঠেছে
২৭২ জন।
তাদের নিয়ে
১৮ লাখ
৯৭ হাজার
৭৯৮ সুস্থ্য
হয়ে উঠলেন।
এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৯০৪ জন। অর্থাৎ তারা
কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও সুস্থ হননি।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর
মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮
মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে
রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট
২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৫১
হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ৭৩ লাখের বেশি।