সাদুল্লাপুর
থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় জানান, রোববার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই
অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কারাগারে
যাওয়া আব্দুল মমিন প্রামানিক (৪০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বস্থ্য সহকারীর
দায়িত্বে ছিলেন। উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রাম থেকে শনিবার রাতে পুলিশ তাকে
আটক করে।
ওসি
প্রদীপ বলেন, শনিবার মহেশপুর গ্রামের ফজল উদ্দিন মাস্টারের বাড়ির কেন্দ্রে টিকা
(বয়ঃসন্ধি) প্রদান কার্যক্রম চলার সময় ওই শিক্ষার্থী টিকা নিতে যান। একটি কক্ষে
টিকা দেওয়ার পর স্বাস্থ্য সহকারী তাকে যৌন নির্যাতন করতে শুরু করে বলে অভিযোগ
পাওয়া গেছে।
তিনি
বলেন, “এ সময় সে চিৎকার করলে মমিন কক্ষ থেকে বাইরে চলে যান। পরে উপস্থিত লোকজন তাকে
আটকের চেষ্টা করলে তিনি গা ঢাকা দেন। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি
জানালে পুলিশ রাতেই মহেশপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করে।”
ওসি
আরও বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাতেই ওই শিক্ষার্থীর বাবা থানায় একটি মামলা
করেছেন। সেই মামলায় রোববার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ
বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীনুল
ইসলাম মণ্ডল বলেন, “অভিযোগের পর রোববার আব্দুল মমিন প্রামানিককে জেলা সিভিল সার্জন
সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।”