মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে স্রেফ ১০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন বুমরাহ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার পাঁচ উইকেট নেওয়ার অভিজ্ঞতা হলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এই পেসারের।
এই সংস্করণে দুইশর বেশি ম্যাচ খেলে ফেললেও ৫ উইকেট ধরা দিচ্ছিল না। দুইবার নিতে পেরেছিলেন চারটি করে উইকেট, সেরা বোলিং ছিল ৪/১৪। ২০৪তম ম্যাচে এসে সবকিছু ছাড়িয়ে গেলেন তিনি।
বুমরাহর এই বোলিং আইপিএলে ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা। ২০০৯ আসরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের হয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন লেগ স্পিনার অনিল কুম্বলে।
এবারের আইপিএল ভালো কাটছিল না বুমরাহর। এই ম্যাচের আগে ১০ ম্যাচ খেলে উইকেট নিতে পেরেছিলেন কেবল পাঁচটি। সাত ম্যাচেই ছিলেন উইকেটশূন্য। তার মতো অভিজ্ঞ একজনের নামের পাশে যা বড্ড বেমানান।
এদিন চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে একটি চার হজম করে দেন মোট ৫ রান। পঞ্চদশ ওভারে বল হাতে পেয়ে দ্বিতীয় বলেই ফিরিয়ে দেন তিনি বিপজ্জনক আন্দ্রে রাসেলকে। লেংথ বল ঠিক মতো খেলতে না পেরে লং অনে ধরা পড়েন রাসেল।
ওভারের পঞ্চম বলে এবার বুমরাহর শিকার নিতিশ রানা। ২৬ বলে ৪৩ রান করা এই ব্যাটসম্যান ক্যাচ দেন উইকেটে পেছনে।
নিজের তৃতীয় ওভারে বুমরাহ নেন তিন উইকেট। একে একে ফিরিয়ে দেন শেল্ডন জ্যাকসন, প্যাট কামিন্স ও সুনিল নারাইনকে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত করতে পারেননি। অসাধারণ বোলিংয়ে ওভারটি নেন মেডেন। নিজের কোটার শেষ ওভারে দেন কেবল এক রান। তার ২৪ বলের ১৮টিতেই আসেনি কোনো রান!
বুমরাহর কীর্তি গড়ার দিনে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে কলকাতা।
রান তাড়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে মুম্বাইয়ের ব্যাটিং। ১১৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৫২ রানে হারে প্রতিযোগিতাটির পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।